প্রতিবেদন : কোর্টে (Court) এফিডেভিট দিয়ে তিন টেট প্রার্থী জানালেন, চাকরির জন্য তাঁদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা (BJP-Suvendu Adhikari)। কিন্তু লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েও চাকরি দেননি শুভেন্দু। পুরো টাকাই নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন। বিস্ফোরক এই অভিযোগ করেছেন রুবি মুখোপাধ্যায়, ঝুমা কাঁড়ার ও রীতেশ যাশু। আদালতে লিখিত ভাবে এই তিনজন যা জানিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে শুধু এই তিনজনের কাছ থেকেই ২০১৭-১৮ সালে শুভেন্দু নিয়েছেন ২২ লাখ টাকারও বেশি। এঁরা ২০১৪-র টেট প্রার্থী। এফিডেভিটের তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কলকাতার (Kolkata) জনৈক সন্টু গাঙ্গুলিকে এই টাকা দিয়েছেন তিনজন। এঁদের দাবি অনুযায়ী, তাঁদের সামনেই টাকা দেওয়া হয় শুভেন্দুকে। এফিডেভিটে দেখা যাচ্ছে, বীরভূমের রুবি ও হাওড়ার ঝুমা দিয়েছেন ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা করে। আর রীতেশ দিয়েছেন ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঘুষ দিয়েও চাকরি না পেয়ে হতাশ তিন চাকরিপ্রার্থী আদালতকে সবটা লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে রোজ ক্যামেরার সামনে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা (BJP-Suvendu Adhikari)। এর আগে নারদায় তাঁকে ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। সিবিআইয়ের খাতায় অভিযুক্ত হিসেবে নামও রয়েছে শুভেন্দুর। এবার টেটের তিন চাকরিপ্রার্থী শুভেন্দুর বিরুদ্ধে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুষ নিয়েও চাকরি না দেওয়ার কথা জানালেন আদালতকে। এরপর কী বলবেন দলবদলু-ব্ল্যাকমেলার-গদ্দার শুভেন্দু? অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন, পূর্ব মেদিনীপুর-মুর্শিদাবাদ -পুরুলিয়ায় চাকরি বিক্রি করেছেন শুভেন্দু। এবার স্বয়ং চাকরিপ্রার্থীরা এফিডেভিড দিয়ে আদালতকে জানানোয় ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়েই পড়ল।
আরও পড়ুন-বহিরাগতদের এনে মাঝরাতে ঘেরাওমুক্ত হলেন উপাচার্য, পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান