বহিরাগতদের এনে মাঝরাতে ঘেরাওমুক্ত হলেন উপাচার্য, পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান

বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে দশ ঘণ্টা পর গায়ের জোর খাটিয়ে ঘেরাওমুক্ত হলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে দশ ঘণ্টা পর গায়ের জোর খাটিয়ে ঘেরাওমুক্ত হলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। নিরাপত্তা রক্ষী ও বহিরাগতদের সাহায্যে নিজেকে ঘেরাওমুক্ত করেন তিনি, এই অভিযোগ আন্দোলনরত পড়ুয়াদের। বুধবার অধিক রাতে উপাচার্যের ডাকা লোকজন ছাত্রদের উপর চড়াও হওয়ার জেরে বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হন। তাঁদের সিয়ান হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট হবে।

আরও পড়ুন-পুরভবনের গেটে তালা, দাদাগিরি বিজেপির

এরপরই শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্যর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে বলে জানান বিশ্বভারতীর টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য। জানা গিয়েছে, স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র মৃত্যুঞ্জয় দাসের মাথায় আঘাত লাগে। পিয়ারসন মেডিক্যাল কলেজ তাঁকে সিয়ান হাসপাতালে রেফার করে। বিক্ষোভ চলাকালীন বিশ্বভারতীর ছাত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্যকে উপাচার্যর সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। বহিরাগতদের ফোন করে উপাচার্য ডাকায় তার প্রতিবাদ করছেন ছাত্ররা, এই ভিডিওটি এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। এ বিষয়ে

আরও পড়ুন-কাতার বিশ্বকাপে উত্তরপাড়ার সুবোধের ট্রান্সফর্মার

মীনাক্ষী বলেন, ‘রাত আড়াইটা নাগাদ সাধারণ পোশাকে বহিরাগত গুণ্ডাদের ফোন করে ডাকেন উপাচার্য। তারা বাঁশের লাঠি ও শাঁবল নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবনের গেট ভেঙে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধর করে। রাকিবুল, দেবদত্ত, সুপ্রিয়-সহ অসংখ্য ছেলের উপর চড়াও হয়। বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সোমনাথের দুটো হাতই কেটে গেছে। এমন অমানবিক শিক্ষক দেখা যায় না। বাধ্য হয়ে উপাচার্যর বাসভবন পূর্বিতার সামনে মঞ্চ করে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন পড়ুয়ারা।’ উপাচার্যর পদত্যাগের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে এই বিক্ষোভ বলে সূত্রের খবর।

Latest article