প্রতিবেদন : লঘু পাপে গুরু দণ্ড! হরিয়ানার বিজেপি সরকারের স্বৈরাচারী মানসিকতার শিকার সাংবাদিকরা। সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টে সন্দেহভাজন এক জঙ্গির গ্রেফতারির জায়গার নাম ভুল লেখায় হরিয়ানা পুলিশ গ্রেফতার করল প্রথম সারির সংবাদপত্র দৈনিক ভাস্করের এক সাংবাদিককে।
আরও পড়ুন :ভিডিওয় বিতর্ক , মোদির সাফল্য দেখাতে গিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের ছবি
এখানেই শেষ নয়, হরিয়ানা পুলিশ নিজের ভুল ঢাকতে আর এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। দৈনিক ভাস্করের সাংবাদিক সুনীল ব্রার ও বার্তা সম্পাদক সন্দীপ শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করে হরিয়ানা পুলিশ। আম্বালা পুলিশের ইন্সপেক্টর বিজয় কুমার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ব্রারকে নিয়ে তদন্ত চলছে। হরিয়ানার বিজেপি সরকারের পুলিশের এই কাজের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। কংগ্রেসের অভিযোগ, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতেই হরিয়ানা পুলিশ এভাবে সাংবাদিকদের গায়েও জঙ্গির তকমা সেঁটে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন :বি ফর ভবানীপুর, ভারতও
আম্বালা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বার্তা সম্পাদক সন্দীপকে অফিসে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে থানায় তুলে আনা হয়। সন্দীপের বাবাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জানতে পেরে জেলার সাংবাদিকরা ওই থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। কংগ্রেস নেতারাও ওই বিক্ষোভে যোগ দেন। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর আম্বালা পুলিশ সন্দীপের বৃদ্ধ বাবাকে ছেড়ে দেয়। যদিও আম্বালা পুলিশ সন্দীপ শর্মার বাবাকে আটক করার খবর অস্বীকার করে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার টিফিন বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনায় যুক্ত সন্দেহে আম্বালার মর্দো সাহিব গ্রাম থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পাঞ্জাব পুলিশ। দৈনিক ভাস্করে তার রিপোর্ট প্রকাশ হয়। তবে দৈনিক ভাস্করে প্রকাশিত রিপোর্টে লেখা হয়, ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আম্বালার আইওসি ডিপো এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, ওই রিপোর্টে আরও লেখা হয় ওই জঙ্গিকে গ্রেফতারের ব্যাপারে আম্বালা পুলিশের সাহায্য চাওয়া হলেও তারা পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে কোনওরকম সহায়তা করেনি। তবে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতারির জায়গার নাম দৈনিক ভাস্করে ভুল প্রকাশ হওয়ায় পরের দিন সংশোধনীও প্রকাশ করে সংবাদপত্রটি।আ
আরও পড়ুন :ত্রিপুরায় পুলিশকে বার্তা তৃণমূলের
কিন্তু তার পরেও আম্বালা থানার এসআই রাধেশ্যাম অভিযোগে লিখেছেন, সাংবাদিক সুনীল কোনও সত্যতা যাচাই না করেই খবর প্রকাশ করেছেন। মিথ্যা খবর ছেপে সুনীল ও বার্তা সম্পাদক মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। তাঁদের এই কাজে দাঙ্গা লেগে যেতে পারত।
এর আগে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো প্রতিবাদী কৃষকদের উপরেও চরম নির্যাতন করেছিল হরিয়ানার বিজেপি সরকার। এবার গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ মিডিয়াও আক্রমণ থেকে বাদ গেল না।