প্রতিবেদন : দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা জনগণের জন্য জনগণের শাসনের পরিবর্তে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এজেন্সির শাসন চালাচ্ছে বলে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন ধর্ম, সম্প্রদায়, রাজনীতির ভিত্তিতে মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ করা হবে তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। শুক্রবার বিধানসভায় সংবিধান দিবসের প্রাক্কালে ঐতিহাসিক ওই দিনের স্মরণে গৃহীত একটি সরকারি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার অভিযোগ তোলেন। এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিরোধী বিধায়করা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী ও সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, শিক্ষা ও আমলাতন্ত্রের রাজনীতি হরণ, বিরোধীদের মর্যাদা না দেওয়ার অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় বিজেপিকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর, বললেন কেন্দ্রে এজেন্সি-সরকার
মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা বিরোধী দলনেতার বাবা শিশির অধিকারীর প্রতি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধার কথা তিনি স্মরণ করান। বিরোধী বিধায়কদের সরকার যথেষ্ট সম্মান করে বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন। তিনি বলেন, রাজ্য বিধানসভার ৪১টি স্থায়ী কমিটির মধ্যে ৯টির সভাপতি পদ বিরোধীদের দেওয়া হয়েছে। অথচ সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসকে একটিও আসন দেওয়া হয়নি। বাণিজ্য সম্মেলনে, চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের আমন্ত্রণ জানান। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুরসভা ভোট কয়েকটা বাকি আছে। রোজ ভোট হলে কাজ ব্যাহত হয়। একসঙ্গে করে দেব। ছাত্র ভোট কোভিডের জন্য দু’বছর বন্ধ। সিপিএম কলেজগুলোকে পার্টি অফিস বানিয়ে দিয়েছিল। ত্রিপুরায় ৫০ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৯৫ শতাংশ আসনে ভোট হয়নি। বিরোধীরা তা নিয়ে নীরব কেন, প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।