প্রতিবেদন : সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সাধারণ বিভাগে আবেদন করতে পারবেন রূপান্তরকামীরা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে শুক্রবার সিলমোহর পড়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন। শুক্রবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর চাপে মাথানত কেন্দ্রের ৮১৪ কোটি রাজ্যের
জানা গিয়েছে, এ বার থেকে সরকারি চাকরিতে সাধারণ বিভাগে আবেদন করতে পারবেন রূপান্তরকামীরা। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই সুখবর দিয়েছেন। বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বাজেট অধিবেশনে এই সংক্রান্ত বিল আনা হবে। সেই বিল পাশ করিয়ে আইন এনে রূপান্তরকামীদের চাকরি দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জনিয়েছেন, রূপান্তরকামীদের অধিকার নিয়ে ২০১৯ সালে সংসদে নতুন আইন পাশ হয়েছে। এই আইনের নতুন বিধি তৈরি হবে। এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সমাজ কল্যাণ দফতরকে ওই বিধি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন আইন প্রণয়ন হলে শিক্ষা চাকরি থেকে শুরু করে সমস্ত ক্ষেত্রে রূপান্তরকামীরা একই রকমের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের ‘ট্রান্সজেন্ডার বোর্ড’-এর ভাইস চেয়ারপার্সন মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকার রূপান্তরকামীদের জন্য প্রচুর ভাল কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যে খসড়া তৈরি হয়েছে, তা-ও রয়েছে আমার কাছে। শুধু চাকরি নয়, রূপান্তরকামীদের স্বাস্থ্য, ঋণ, পুনর্বাসন— সব বিষয়েই পদক্ষেপ করেছে সরকার।’’ বাংলার রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের পাশে থাকার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের উন্নয়নে পৃথক বোর্ড গড়ে দিয়েছেন তিনি। এবার ওই সম্প্রদায়কে সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসতে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করলেন তিনি।