প্রতিবেদন : বিজেপি যে হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, আর তাদের নেতারা যে আদৌ সহনশীল নন, তার হাতেগরম প্রমাণ মিলল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে। দলের একেবারে ওপরের তলা থেকে নিচে, গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার। গত বৃহস্পতিবার, মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে বাঁকুড়ায় যান সুভাষ সরকার ও সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন-অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পরেই পঞ্চায়েত প্রস্তুতি, শুক্রবারেই বীরভূমে প্রথম সভা
গঙ্গাজলঘাটির দুর্লভপুর মোড়ে এক বেসরকারি লজে বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে বেলা ২টো নাগাদ বেরোতেই সুভাষকে উদ্দেশ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপিরই কর্মী দীপক চক্রবর্তী। এতেই খেপে ওঠেন সুভাষ ও তাঁর সঙ্গীরা। দীপককে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারা হতে থাকে। দীপকের হাতে ছিল দলীয় পতাকা। তা দিয়েও পেটানো হয়। সুভাষ নিজেও পিছিয়ে থাকেননি। তাঁকে লাথি মারতে এবং আঙুল উঁচিয়ে দীপককে হুমকি দিতেও দেখা যায়। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও জাগোবাংলা তার সত্যতা যাচাই করেনি। দীপক হাতজোড় করে বারবার ক্ষমা চাইলেও থামেনি মারধর। ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। দলে বিরুদ্ধ মত থাকতেই পারে। গণতান্ত্রিক উপায়ে আলোচনা করে কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এ থেকে বঙ্গ বিজেপির বেহাল দশাই প্রকাশ পাচ্ছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
নিধিরামপুরের বাসিন্দা দীপক জানিয়েছেন, এই সুভাষ সরকারকে লোকসভা নির্বাচনে জেতানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু ভোটের পর এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি বিজেপি সাংসদ। তাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তিনি।