দোহা, ২৮ নভেম্বর : ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো গোল পেলেন না। তবুও উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারাল পর্তুগাল (Portugal vs Uruguay)। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ (Bruno Fernandes)। আর এই জয়ের সুবাদে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় উঠে গেল পর্তুগাল।
ম্যাচটা শুরুর আগেই ধাক্কা খেয়েছিল পর্তুগাল। পাঁজরের চোটে ছিটকে গিয়েছিলেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার দানিলো পেরেরা। মজার ব্যাপার, উরুগুয়ে ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মলনে এসে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার বের্নার্ডো সিলভা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘এই ম্যাচটা জিতে আমরা দানিলোকে উৎসর্গ করতে চাই।’’ কথা রাখলেন সিলভা। অন্যদিকে, পর্তুগালের কাছে এই ম্যাচটা ছিল বদলার মঞ্চ। রাশিয়া বিশ্বকাপে উরুগুয়ের কাছে ১-২ গোলে হেরেই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন পর্তুগিজরা। চার বছর পর সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিলেন রোনাল্ডোরা।
আরও পড়ুন-টি ২০-তে নতুন অধিনায়ক ও কোচের ভাবনা, ঢাকা যাওয়ার আগে রোহিতদের নিয়ে বৈঠক
ম্যাচটা বেশ তেড়েফুঁড়ে শুরু করেছিল পর্তুগাল (Portugal vs Uruguay)। তবে প্রতিপক্ষ পেনাল্টি বক্সের সামনে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ, জোয়াও ফেলিক্সরা। ১৮ মিনিটে অবশ্য উরুগুয়ের বক্সের ঠিক সামনে ফ্রি-কিক পেয়েছিল পর্তুগাল। কিন্তু রোনাল্ডোর শট ওয়ালে লেগে কর্নার হয়ে যায়।
অন্যদিকে, পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে ৩২ মিনিটে প্রায় গোল করে বসেছিল উরুগুয়ে। মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে একাই পর্তুগালের বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন রডরিগো বেনতাকুর। কিন্তু একা গোলকিপার দিয়াগো কোস্তাকে পেয়েও তাঁর হাতেই মেরে বসেন উরুগুয়ান মিডফিল্ডার। নইলে বিরতির আগেই পিছিয়ে পড়েন রোনাল্ডোরা।
তবে ৫৪ মিনিই গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল পর্তুগাল। বাঁ দিকে থেকে নেওয়া ব্রুনো ফার্নান্দেজের ক্রস বাঁক খেয়ে জালে জড়িয়ে যায়। হেড করার চেষ্টা করেছিলেন রোনাল্ডো। তবে বল তাঁর মাথা স্পর্শ করেনি। পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছিল উরুগুয়ে। ৭২ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করেন উরুগুয়ান কোচ। কাভানি ও নুনেজকে তুলে নিয়ে মাঠে নামিয়ে দেন সুয়ারেজ ও ম্যাক্সি গোমেজকে। মাঠে নামার দু’মিনিটের মধ্যে গোমেজের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। কয়েক মিনিট পরেই সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেজ।
উল্টে ৯০ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে নেয় পর্তুগাল। বক্সে মধ্যে হ্যান্ডবল করেছিলেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার জিমিনেজ। শুরুতে রেফারির চোখ এড়িয়ে গেলেও, ভার-এর সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। গোল করতে কোনও ভুল করেননি ব্রুনো। পর্তুগালের জয় তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়।