নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য: তথ্যচিত্রে কানন দেবী। বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রবাদপ্রতিম নায়িকাকে নিয়ে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন শহরের তথ্যচিত্র নির্মাতা শম্পা মিত্র। পেশায় অঙ্কন শিল্পী শম্পার নেশা ছবি তৈরি। গত এক দশক ধরে ছবি তৈরি করছেন শম্পা। এর আগে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা পেয়েছিল শম্পার তৈরি তথ্যচিত্র ‘অগ্নি দহেনা যারে’। সব মিলিয়ে প্রায় সাত-আটখানা তথ্যচিত্র হয়ে গিয়েছে। সেই সাফল্যকে পুঁজি করে শম্পা এবার ‘কানন’ নিয়ে হাজির।
আরও পড়ুন-বিনিকে নোটিশ এথিক্স কমিটির
দীর্ঘদিন ধরেই কানন দেবীর মতো চরিত্র টানত শম্পাকে। কার্যত শূন্য থেকে শুরু করে নিজের ক্যারিশ্মায় হয়ে উঠেন ‘ওয়ান ওম্যান ইন্ড্রাস্ট্রি’। সেখান থেকেই বাংলা থেকে হিন্দি, কানন দেবীর রুপোলি পরিক্রমা সেলুলয়েডে ধরা রাখার ভাবনা মাথায় আসে তাঁর। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। কিন্তু চাইলেই তো আর হয় না। গত প্রায় এক দশক ধরে ভাবনাটা মাথাতেই রেখে দিয়েছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন সুযোগের। সেই সুযোগটাই এনে দিলেন ডাঃ জ্যোতিপ্রকাশ গুহ। মূলত তাঁরই উৎসাহ ও সক্রিয় সহায়তায় শেষ পর্যন্ত শেষ হয় শম্পার স্বপ্নের ‘কানন’। ছবি শেষ করার শুরুতে অনেক সমস্যায় পড়েন। এরপরই গোটা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে একজনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কানন দেবীর মতো কিংবদন্তিকে নিয়ে তথ্যচিত্রের কথা শুনে শম্পাকে উৎসাহ দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-কাসিমিরো বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডার : নেইমার
এই ধরনের হারিয়ে যাওয়া চরিত্রকে এই প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য শম্পাকে উৎসাহও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়ে শম্পার সাফল্য কামনা করেন তিনি। শম্পার ‘কানন’ আপাতত প্রাথমিক ভাবে জায়গা পেয়েছে এবারের কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের তথ্যচিত্র বিভাগে। ছবিতে কানন দেবীর বিরল মূহূর্তের বেশ কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও সিনেমার ক্লিপিং দেখতে পাবেন দর্শকরা। সেই সঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তিদের মুখেও শোনা যাবে কানন দেবীর কথা। তথ্যচিত্রটির দৈর্ঘ্য এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট।