প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে অনুযায়ী গঙ্গারতির জন্য জায়গা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। মহানগরীর বিভিন্ন গঙ্গাঘাট খুঁটিয়ে পরিদর্শন করে সবদিক বিচার করে প্রাথমিকভাবে দু’টি ঘাটকে বেছে নিয়েছেন পুরসভার বিশেষজ্ঞরা। প্রথমটি বাজে কদমতলা ঘাট এবং অপরটি মিলেনিয়াম পার্ক লাগোয়া গঙ্গাতীর। শুধু গঙ্গারতি নয়, একে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও নিয়েছে পুরকর্তৃপক্ষ। সবটাই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন-সাপেক্ষ। জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ তারক সিং।
আরও পড়ুন-অবহেলায় ডাক্তারি ছাত্রের মৃত্যু, বিক্ষোভ সহপাঠীদের
পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন, পুরো দায়িত্বই পুরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে তাঁকেই। সেই অনুযায়ী গত কয়েকদিনে পদস্থ আধিকারিক এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মহানগরীর বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শন করেন। কোন ঘাট গঙ্গারতি আয়োজনের পক্ষে কতটা উপযোগী, সুবিধে এবং অসুবিধে কী কী তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। নিমতলা, আহিরিটোলা, বাগবাজার, প্রিন্সেপ ঘাট, বাবুঘাট, আর্মেনিয়াম ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট এবং মিলেনিয়াম পার্ক লাগোয়া গঙ্গাতীরে সমীক্ষা চালায় পুরসভার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে পুরসভার পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন-জনমুখী প্রকল্পের প্রসারে অভিনব পার্ক হাওড়ায়
মেয়র পারিষদ তারক সিং জানালেন, প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে স্কেচ, যার দু’টি ভাগ— গঙ্গারতি এবং বিনোদন পর্যটন। গঙ্গারতির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে বাজে কদমতলা ঘাটের। বিশেষ করে সিঁড়ির। এবং মিলেনিয়াম পার্ক লাগোয়া গঙ্গাতীরে সন্ধ্যারতি সময় জলে প্রদীপ ভাসানোর জন্য স্থাপন করা হবে অত্যাধুনিক হাইড্রোলিক র্যাম্প। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে মিলেনিয়াম পার্ক সংলগ্ন এলাকা। এখানে থাকছে রসনা তৃপ্তির জন্য ফুডপার্ক— নামীদামি হোটেল চেনের আউটলেট, লাইট অ্যান্ড সাউন্ড, লেজার শো। লাগোয়া দু’টি জেটিতে পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করবে পুরসভার নিজস্ব লঞ্চ। গঙ্গার বুকে প্রমোদ ভ্রমণের জন্য। থাকবে সাংস্কৃতিক মঞ্চ এবং দর্শকদের বসার জায়গাও। সমস্ত পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করা হবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের পরেই। তারপরে বাস্তবায়নের পালা।