প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বলেছেন, পাহাড় ও জঙ্গলমহলের উন্নয়ন রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশকে মাথায় রেখে মঙ্গলবার পাহাড় থেকে আগত প্রতিনিধিদের দাবিদাওয়া শুনলেন ও সাধ্যমতো সমাধানের আশ্বাস দিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মঙ্গলবার রতন থাপার নেতৃত্বে জিটিএ-র এক প্রতিনিধি দল জলসম্পদ দফতরে এসে তাঁদের দাবিদাওয়া পেশ করেন। সেচের জন্য একাধিক প্রকল্প নিয়ে এদিন তাঁরা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুরে বর্জ্য থেকে জৈব সার
তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মানস ভুঁইয়া বলেন, পাহাড় আমাদের অগ্রাধিকারের জায়গা। তাঁদের প্রয়োজনের কথা শুনে আমরা তৎক্ষণাৎ ৩ কোটি টাকার একটি সেচ প্রকল্প মঞ্জুর করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে পাহাড়ের ধস নিয়েও তাঁরা এদিন একাধিক সমস্যার কথা বলেন। সব শুনে মন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন যে আগামী ডিসেম্বরেই তাঁর দফতরের একটি হাইপাওয়ার কমিটি গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পাহাড়ে যাবে। গিয়ে সেখানে আর কী কী করা যায়, ধস রুখতে কী কী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায় সবদিক খতিয়ে দেখবে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জায়গা বাছাইয়ের কাজ শুরু, গঙ্গারতির প্রাথমিক রূপরেখা পুরসভার
এ প্রসঙ্গে মানস ভুঁইয়া জানান, রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট ৫৭৩৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের ব্যবস্থা আছে। তার মধ্যে ৭৬ শতাংশ জমিতে সেচের ব্যবস্থা করে ক্ষুদ্র সেচ দফতর। বাকিটা করে সেচ দফতর। রাজ্যের জলতীর্থ, মাটি সৃষ্টি ও জল ধরে জল ভরো-র মতো প্রকল্পগুলি নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তারা অর্থ মঞ্জুর করলেই এই প্রকল্পগুলি শুরু হয়ে যাবে বলেই জোরের সঙ্গে জানান মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।