প্রতিবেদন : কাঁথিতে সভা করতে কোনও বাধা নেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kanthi- Abhishek Banerjee- High Court)। বৃহস্পতিবার পরিষ্কার করেই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে খারিজ হয়ে গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন। ফলে আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথির প্রভাতকুমার কলেজের মাঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হচ্ছে। এই সভা বানচাল করতেই এদিন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী নেতা। কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টাও ভেস্তে দিল আদালত (Kanthi- Abhishek Banerjee- High Court)। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ জানায়, রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। সেখানে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। প্রভাতকুমার কলেজের মাঠে অভিষেকের সভা হবে। তবে কয়েকটি শর্তও দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, সভায় শান্তি-শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। একই সঙ্গে বিনা অনুমতিতে কেউ যাতে শান্তিকুঞ্জে ঢুকতে না পারেন সেটাও জেলা পুলিশ সুপারকে নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, শব্দদূষণ যাতে না হয় সেটাও দেখতে হবে। বাসিন্দারা যাতে সমস্যায় না পড়েন তা-ও দেখার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনকে দিয়েছে আদালত। আদালতের রায় সামনে আসার পরই এই নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বোঝাই যাচ্ছে ভয় পেয়ে গিয়েছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়েই এ-সব হাস্যকর কাণ্ডকারখানা করছেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল (Kunal Ghosh) বলেন, প্রতিটি পদক্ষেপেই প্রমাণিত হচ্ছে রাজ্যের তথাকথিত বিরোধী দলনেতা আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাচ্ছেন। এই তো মুখে-মুখে বলছিলেন এই হবে, সেই হবে, ডিসেম্বর মাস— তাহলে আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করতে যাচ্ছেন তা আটকাতে আপনি আবার আদালতে ছুটলেন কেন? এত কীসের ভয়? অভিষেকের সভা শুনেই ভয় পেয়ে যাচ্ছেন! এ তো মনে হচ্ছে মানসিক রোগী। অভিষেক সভা করতে যাচ্ছেন, কোথায়? কাঁথিতে। সমস্যা কোথায়? কাঁথি একটা শহর, সেখানে সভা হবে না! বেশি লোক যাবে তা বড় মাঠে সভা হবে না? ওঁর বাড়ির সামনে হাঁটা যাবে না, ফুল দেওয়া যাবে না, জোরে মাইক বাজানো যাবে না, সভা করা যাবে না, শুধু উনি ওই শহরে থাকেন বলে। আমার মনে হয় উনি এবার সুপ্রিম কোর্টে একটা আবেদন করুন, নো ফ্লাইং জোন চেয়ে। উনি যে বাড়িতে থাকেন তার ওপর দিয়ে কোনও বিমান যেতে পারবে না। এতদিন বললেন ডিসেম্বর, ডিসেম্বর। তা অভিষেক তো ডিসেম্বরেই সভা করতে যাচ্ছেন, তাহলে তা ঠেকাতে ছুটছেন কেন? ভয়টা কীসের? আমাদের কর্মী-সমর্থকরা সেদিন যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে। ওঁর বাড়িতে কেউ যাচ্ছে না। কেন যাবে? কেউ ওঁকে নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। অভিষেকের সভার দিনই উনি যাচ্ছেন অভিষেকের এলাকায়? কেন? কোন ভয়ে? ‘ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লাগা’ বলেও তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল। এরপরই তিনি বলেন, প্রত্যেক দিন উনি প্রমাণ করে দিচ্ছেন উনি ভয় পাচ্ছেন। ভয়ে প্যানিক রিঅ্যাকশন দিচ্ছেন। প্যানিকে চোখের তলায় কালি পড়ে গেছে সেটাও দেখা যাচ্ছে।