অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেগা সভা কাঁথিতে (Kanthi- TMC)। দুপুরেই নেতা-মন্ত্রীরা (Kanthi- TMC) উপস্থিত হন মঞ্চে। শনিবার সেই মঞ্চ থেকেই নেতারা একের পর এক ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখেন। এদিন মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চাই। অন্য কোনও ক্ষেত্রে হানাহানি নয়। জঙ্গলমহলে মানুষের দুর্দশা দেখে কেঁদে ফেলেছিলাম। আমি যদি কোনওদিন সুযোগ পাই, এদের চোখের জল মুছিয়ে দেবো। তিনি কথা রেখেছেন। খাবার জন্য ২টাকা কেজি চাল দিয়েছেন। তারপর একের পর এক প্রকল্প। যিনি সর্বদা গরিবের কথা ভাবেন। তাঁকে দমানো যাবে না। নেত্রীর পথেই হাঁটছেন আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”
মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে যে বঞ্চিত করছে তার বিরোধিতা করে এই সভা। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই সভা।
পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বিজেপির লোকেরা ততই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। ডায়মন্ড হারবারে লোক হবে না বুঝে নিজের মঞ্চ নিজেই ভেঙেছে। পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতে পারবে না বুঝে প্ররোচনা দিচ্ছে। কেউ ওদের ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। তবে আমরাও চুপ করে বসে থাকবো না, আর একটা কর্মীর গায়ে হাত দিলে আমরাও জবাব দিতে তৈরি।”
জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, “দুর্নীতি নয়, সততা। এটাই শিখিয়েছেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রের সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ বলে ঠকাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করার স্বপ্ন সাত জন্মেও পূরণ হবে না।”
আরও পড়ুন: জনসভায় যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে নেমে গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগ শুনলেন অভিষেক
এদিন যুবসভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “মেদিনীপুরের মাটি সংগ্রামের, লড়াইয়ের, গর্বের মাটি। কাঁথির মাটি প্রমাণ করল আয় গদ্দার দেখে যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শপথ নিতে হবে এই মাটি কোনওদিন মাথা নিচু করেনি, শিরদাঁড়া বিক্রি করেনি। শুভেন্দু অধিকারী পালিয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের সম্পদ আমাদের কর্মীরা। আমাদের শপথ নিতে হবে প্রতিটি পঞ্চায়েতকে উন্নততর পঞ্চায়েত গঠন করতে হবে। বিজেপির হিংসা, প্ররোচনায় পা দেবেন না। ডিসেম্বরে শুভেন্দু আগে নিজের পরিবার সামলাও, তারপর তৃণমূল নিয়ে কথা বলবে। থুতু উপরে ছুঁড়লে নিজের গায়ে পড়ে, সেটা শুভেন্দু জানে না।
এইচডিএ চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর জানান, “কাঁথিতে মানুষের মাথা। আর ওদিকে হনুমানের লেজ। শহিদ ক্ষুদিরামের জন্মদিনে যখন শ্রদ্ধা বার্তা দিতে মেদিনীপুরে আসছেন, ঠিক তখনই মেদিনীপুর ছেড়ে পালালেন শুভেন্দু। এই নাকি ওর দেশপ্রেম। যে বাংলার উন্নয়ন নয়, বিরোধিতা করছে। দিল্লিতে গিয়ে বাংলার নামে কুৎসা করছে। আপনি তো হেরে হেরে হারাধন হয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় জিতে বাছাধন হয়েছে। এতবড় সর্বনাশা বিরোধী দলনেতা আগে কখনও আসেনি।
রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “৮০ শতাংশ পদ মন্ত্রী নিয়ে বেইমানি করেছো, তাই তুমিও ৮০% গালাগাল খাবে। ইডি সিবিআই থেকেই বাঁচতে বিজেপির জুতো পালিশ করতে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কলঙ্ক শুভেন্দু অধিকারী। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন অন্যদিকে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি। তাই উন্নয়নকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি বুথে জোড়াফুল প্রার্থীদের ভোট দিন। বিজেপির দুই ভাই, সিপিএম আর কংগ্রেস। যে যত জোট করুক প্রতিটি বুথে ৫১-১০০% ভোট নিশ্চিত করুন। কোনও জোর জুলুম নয়, মানুষকে বুঝিয়ে ভোট করতে হবে।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্প। মানুষের ভোটে জিততে পারেনি। তাই সিবিআই, ইডি দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল। সবাই জানে কাঁথির সভায় সড়ক পথে আসবেন অভিষেক।
গত কয়েকদিন দিন ধরে বোমা মজুত করা হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসনকে আমরা বলছি, অবিলম্বে এর তদন্ত করতে হবে।”