কালিদাসের ‘মেঘদূতম’ ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন ছাত্রজীবনে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি এবং বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। ভালবাসতেন দুই ভাষাতেই কবিতা পড়তে এবং লিখতে। হাতের কাছে ছিল দেশি-বিদেশি বই। কম বয়সেই আগ্রহী হয়ে পড়েন সংগীতের প্রতি। অসামান্য লেখনীর জোরে একটা সময় তিনি— গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার (Gauriprasanna Majumdar), হয়ে উঠেছিলেন বাংলার অন্যতম সেরা ‘গীতিকবি’ বা ‘গীতিকার’।
১৯২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর পাবনার গোপালনগর গ্রামে এক উচ্চশিক্ষিত পরিবারে জন্ম। বাবা গিরিজাপ্রসন্ন মজুমদার ছিলেন ভারতবিখ্যাত উদ্ভিদবিজ্ঞানী এবং প্রেসিডেন্সি কলেজের খ্যাতনামা অধ্যাপক। জানা যায়, প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর সঙ্গে অধ্যাপনা করতেন পদার্থবিজ্ঞানী সি ভি রমন, সর্বপল্লী ড. রাধাকৃষ্ণন প্রমুখ। মা সুধা মজুমদার হয়েছিলেন স্নাতক-উত্তীর্ণ, ভালবাসতেন কবিতা এবং প্রবন্ধ পড়তে, লিখতে।
সংগীতের প্রতি গৌরীপ্রসন্নর (Gauriprasanna Majumdar) আগ্রহের পিছনে বড় ভূমিকা ছিল কাকার। কাকা তাঁর মাকে উপহার দিয়েছিলেন বিদেশি গ্রামোফোন। মা সেই গ্রামোফোনে আব্বাসউদ্দিন, শচীন দেববর্মন শুনতেন এবং গুনগুন করতেন। শুনতেন গৌরীপ্রসন্নও। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন সংগীতের অনুরাগী। অনুরাগ এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, একটা সময় রীতিমতো গান শিখতে শুরু করেন। পার্ক স্ট্রিটের সংগীত সম্মিলনীতে গিরিজাশংকর চক্রবর্তীর কাছে কণ্ঠসংগীত এবং মিহিরকিরণ ভট্টাচার্যের কাছে বেহালার তালিম নিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে কবিতার পাশাপাশি লিখতে শুরু করেন গান।
সংগীতশিল্পী বিমলভূষণের সঙ্গে তাঁর পরিচয় প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময়েই। ১৯৪৬ সালে বিমলভূষণ রেকর্ড করেন গৌরীপ্রসন্নর (Gauriprasanna Majumdar) দুটি গান ‘আমি বুঝতে পারি না কি আছে তোমার মনে’ এবং ‘শুধু পত্র ঝরায় অলস চৈত্রবেলা’। দুটি গান সমাদৃত হয়েছিল বহু মানুষের কাছে।
একদিন একটি গান লিখে কপাল ঠুকে চলে যান শচীন দেববর্মনের বাড়িতে। এই মানুষটির গানের সঙ্গে ছোট থেকেই পরিচয় গৌরীপ্রসন্নর। আলাপের পর শচীনকর্তা গৌরীপ্রসন্নকে একটি ইংরেজি কবিতার বই দিয়ে দুটি লাইন দেখিয়ে সেটা থেকে বাংলায় গান লিখতে বলেন। আশ্চর্যের ব্যাপার, কিছুক্ষণের মধ্যেই গান লিখে ফেলেন গৌরীপ্রসন্ন। বিস্মিত হয়ে যান শচীন দেববর্মন। গানটি শচীন দেববর্মন আকাশবাণীতে নিজেই গেয়েছিলেন। তারপর থেকেই শচীন দেববর্মনের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল গৌরীপ্রসন্নর। শচীন দেববর্মন ভালবেসে তাঁকে বলতেন কলকাতার ‘মজরুহ্ সুলতানপুরী’। এই গীতিকার-সুরকার জুটি বেশকিছু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন।
শচীন দেববর্মন সুরারোপিত শক্তি সামন্তের ছবি ‘আরাধনা’। মূলত হিন্দি। গৌরীপ্রসন্ন ‘মেরে সপনো কি রানি’, ‘গুনগুনা রহা হ্যায় ভবরেঁ’ গানদুটির বাংলা করেছিলেন ‘মোর স্বপ্নের সাথী তুমি’ আর ‘গুঞ্জনে দোলে যে ভ্রমর’। রাজেশ খান্না এবং শর্মিলার লিপে হিন্দির পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়েছিল বাংলা গানগুলিও।
পরবর্তী সময়ে গৌরীপ্রসন্ন জুটি বাঁধেন নচিকেতা ঘোষের সঙ্গে। একটি লেখায় পড়ছিলাম, নচিকেতা ঘোষের সুযোগ্য পুত্র সুপর্ণকান্তি বলছেন, বাবার প্রায় ৭০ শতাংশ গানই তো গৌরীপ্রসন্নর লেখা।
জানা যায়, নচিকেতা এবং গৌরীপ্রসন্ন কলেজ জীবন থেকেই বন্ধু ছিলেন। প্রায় প্রতিদিন তাঁরা আড্ডায় বসতেন। সঙ্গে চলত গান বাঁধার কাজ। অভিন্নহৃদয় হলেও গান তৈরি নিয়ে মাঝেমধ্যেই বেজায় তর্ক-বিবাদ লেগে যেত দুই বন্ধুর। কিন্তু সেই সব বিবাদ থেকেই জন্ম নিত অনবদ্য সব গান। তাঁদের তৈরি গানগুলো কালজয়ী হয়েছে।
সুপর্ণকান্তির সুরে মান্না দের গাওয়া বিখ্যাত গান ‘কফিহাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’। জানা যায়, হাওড়া স্টেশনে সিগারেটের প্যাকেটের রাংতায় গানটি লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন। একটা সময় হিন্দি চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করতেন মান্না দে। তাঁর প্রথম গাওয়া বাংলা গান লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্নই। পরবর্তী সময়ে মান্না দের জন্য অসংখ্য গান লিখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আমি যামিনী তুমি শশী হে’, ‘তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা ঝড়’, ‘হাজার টাকার ঝাড়বাতিটা’, ‘যদি কাগজে লেখো নাম’, ‘এমন বন্ধু আর কে আছে’।
গৌরীপ্রসন্নর (Gauriprasanna Majumdar) বিভিন্ন গানে সুর দিয়েছেন এবং গেয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। সেই সময় একটা কথা প্রচলিত ছিল, গৌরীপ্রসন্ন ছাড়া হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরকার এবং গায়ক জীবন অসম্পূর্ণ। একে অপরকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করতেন। এই জুটি শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ‘নীল আকাশের নিচে’ ছবির ‘ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে’, ‘নীল আকাশের নিচে এই পৃথিবী’, ‘দুই ভাই’ ছবির ‘তারে বলে দিও’, ‘হারানো সুর’ ছবির ‘আজ দুজনার দু’টি পথ’, ‘তুমি যে আমার’, ‘লুকোচুরি’ ছবির ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি’, ‘দীপ জ্বেলে যাই’ ছবির ‘এই রাত তোমার আমার’, ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’ ছবির ‘পথের ক্লান্তি ভুলে’, ‘সপ্তপদী’ ছবির ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ইত্যাদি। বহু ব্যর্থ প্রযোজক-পরিচালক ভাগ্য ফেরাতে সাহায্য নিয়েছেন গৌরীপ্রসন্ন-হেমন্ত জুটির। একবার একটি বিখ্যাত রেকর্ড কোম্পানির সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয়েছিল গৌরীপ্রসন্নর। সেই সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছিলেন হেমন্ত।
উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেন জুটির বেশকিছু সিনেমার জনপ্রিয় গান রচনা করেছেন গৌরীপ্রসন্ন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গানগুলো গেয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। সুচিত্রা সেনের লিপে গৌরীপ্রসন্নর লেখা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘গানে মোর ইন্দ্রধনু’, ‘ঘুম ঘুম চাঁদ’, ‘আকাশের অস্তরাগে’ ইত্যাদি গানগুলি হয়েছে কালোত্তীর্ণ।
পাশাপাশি লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, আরতি মুখোপাধ্যায়, কিশোর কুমার, রাহুল দেববর্মন, এস পি বালাসুহ্মণ্যম, বাপ্পি লাহিড়ী প্রমুখ গেয়েছেন গৌরীপ্রসন্নর লেখা অসংখ্য গান। সময়টা ছিল বাংলা গানের স্বর্ণযুগ।
শ্যামল মিত্রের সুরেও বহু কালজয়ী গান রচনা করেছেন গৌরীপ্রসন্ন। কথা হল শ্যামল মিত্রর সুযোগ্য পুত্র সংগীতশিল্পী সৈকত মিত্রর সঙ্গে। জানালেন, দারুণ মানুষ ছিলেন গৌরীকাকু, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। দীর্ঘদেহী ছিলেন। গান লেখার জন্য রামগড়ের বাড়ি থেকে হেঁটে চলে আসতেন আমাদের লেক ভিউ রোডের বাড়িতে। বসতেন বাবার সঙ্গে। কয়েক মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে যেত গান। গৌরীকাকু গান লিখে বাবাকে দিতেন। বাবা সুর করতেন। এইসব আমার নিজের চোখে দেখা।
তিনি আরও বলেন, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের গানগুলো আমার মতে বিশুদ্ধ কবিতা। ওঁর একটা নিজস্ব স্টাইল ছিল। গানগুলোয় সাধু এবং চলিত ভাষার মিশ্রণ দেখা যেত। বিভিন্ন গানে ঘটিয়েছেন মৈথিলী ভাষার প্রয়োগ। উনি একটি গানে লিখেছিলেন ‘বাদামি রোদ’। অসাধারণ প্রয়োগ। সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করতেন। এই ক্ষেত্রে উনি ছিলেন অনন্য। ইংরেজি এবং বাংলা, দুটি ভাষায় ছিল অসামান্য দখল। অন্য ভাষার গান ও কবিতার প্রভাব ওঁর বিভিন্ন লেখায় দেখা গেছে। সব সময় ভালটুকু নেওয়ার চেষ্টা করতেন। এর ফলে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা গান। ব্যক্তিগত স্মৃতি প্রচুর। আমার প্রথম দুটি ছায়াছবির গান ওঁরই লেখা। তার মধ্যে একটি তাপস পাল অভিনীত অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘কেনারাম বেচারাম’ ছবির, অন্যটি ‘একাকী’। উচ্চারণের ব্যাপারে ছিলেন খুব খুঁতখুঁতে। রেকর্ডিং-এর সময় বড় স্পিকারের সামনে কান পেতে দাঁড়িয়ে থাকতেন। গানের পাশাপাশি বহু সিনেমার গল্প লিখেছেন। পরতেন পাজামা, পাঞ্জাবি, বিভিন্ন ধরনের ঘড়ি। পান খেতেন খুব। এক-একদিন এক-এক রকম কলম নিয়ে আসতেন। জিনিয়াস ছিলেন। তবে ওঁর সঠিক মূল্যায়ন হয়নি।
শুধুমাত্র রোম্যান্টিক গানের মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি গৌরীপ্রসন্ন। লিখেছেন অন্য ধরনের গানও। ১৯৭১ সাল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। আকাশবাণীতে শোনা গেল ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ। সেই ভাষণ শুনতে শুনতে সিগারেটের প্যাকেটের সাদা কাগজে গৌরীপ্রসন্ন লিখলেন ‘শোনো, একটি মুজিবরের থেকে’ গানটি। সুর করে গাইলেন বন্ধু অংশুমান রায়। ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র। ফিরল মুখে মুখে। গানটি মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্চর্য রকমের উদ্বুদ্ধ করেছিল। ইংরেজি অনুবাদ ‘আ মিলিয়ন মুজিবর সিঙ্গিং’। ১৯৭১ সালে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের মন্ত্রী পরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাজানো হয়েছিল গানটি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন গৌরীপ্রসন্ন। বাংলাদেশ রেডিওর জন্য লিখেছিলেন ‘মাগো ভাবনা কেন’ গানটি। গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। গানটি সৃষ্টি করেছিল ইতিহাস।
আরও পড়ুন-মুর্শিদাবাদে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বাড়াল সরকার
প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁর গানের অনুরাগী। এই সময়ের বিশিষ্ট সংগীত-ব্যক্তিত্ব অনুপম রায়ের সঙ্গে কথা হল। তিনি জানালেন, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার (Gauriprasanna Majumdar) বাংলা গানের ইতিহাসে খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন গীতিকার ছিলেন। ওঁর লিখনশৈলী ছিল চমৎকার। আমি ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। এক কথায় বাংলা সংগীত জগতের কাল্ট ফিগার। ‘শিং নেই তবু নাম তার সিংহ’র মতো গান লেখার পাশাপাশি লিখেছেন উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত রোম্যান্টিক গানগুলি। আবার মান্নাদের গাওয়া ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ও লিখেছেন। একটা মানুষ কী করে এত রকমের গান লিখেছেন, ভেবে বিস্মিত হতে হয়। দারুণ ভার্সেটাইল ছিলেন।
কথা হল সংগীতশিল্পী শান্তনু রায়চৌধুরির সঙ্গেও। তিনি বললেন, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ছিলেন বড় মাপের কবি, সংগীত রচয়িতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অতুলপ্রসাদ সেন, রজনীকান্ত সেনের পরবর্তী সময়ে বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছিলেন তিনি। নচিকেতা ঘোষ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখদের নিয়ে অসাধারণ সব সৃষ্টি করেছেন। আলাদা করে কোনও গানের কথা বলা মুশকিল। ওঁর প্রায় সব সৃষ্টিই আমাদের প্রিয়। অসংখ্য গান আগে লিখেছেন, পরে সুর করা হয়েছে। আবার কিছু কিছু গানে তিনি সুরের ওপর কথা বসিয়েছেন। বড় কবি তো বটেই, পাশাপাশি ছিলেন বড় দার্শনিক। ‘ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে’ গানটি শুনলে সেটা ভালই বোঝা যায়। আমি তিনবার সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছি। দমদম ক্যান্টনমেন্টে আমাদের পাড়ায় আড্ডা মারতে আসতেন। তখন আমি কলেজের ছাত্র। সেই সময় ওঁকে বোঝার ক্ষমতা আমার ছিল না। আজও যে সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছি, এমন নয়। বন্ধুর বাড়িতে আলাপ হয়েছিল। প্রণাম করেছিলাম। তবে তখন গান-বাজনা নিয়ে কোনও কথা বলার সাহস হয়নি। কারণ ভয় পেতাম ওঁর ব্যক্তিত্বকে। পরবর্তী সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে আমার গান শুনে চিনতে পেরেছিলেন। বুঝেছিলাম ওঁর স্মৃতিশক্তি প্রখর।
অসময়ে চলে গিয়েছিলেন অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন মানুষটি। আক্রান্ত হয়েছিলেন ক্যানসারে। ১৯৮৬ সালের ২০ অগাস্ট মাত্র ৬২ বছর বয়সে মারা যান। গীতিকার হিসেবে পরিচিতি পেলেও, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ছিলেন একজন উচ্চমানের কবি। মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, কবিতায় সুর দিলেই গান হয় না, গানের ভাষা সম্পূর্ণ আলাদা।
যতদিন বাংলা গান ভেসে বেড়াবে আকাশে-বাতাসে, ততদিন শ্রোতাদের মনে বেঁচে থাকবেন এই কিংবদন্তি কবি-গীতিকার।