প্রতিবেদন : ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ফের আছড়ে পড়ল একের পর এক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় কমপক্ষে পঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। একাধিক গাড়ি ও আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। এই নিয়ে মাস দুয়েকের মধ্যে আটবার ইউক্রেনের উপর নির্মম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল মস্কো। রাশিয়ার এই হামলায় ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, তারা রাশিয়ার ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৬০টি মাটিতে নামিয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন-পুরহিতদের উপহার দিয়ে পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরে আরতি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্যদিকে মস্কো পাল্টা বলেছে, তারা ইউক্রেনের কমপক্ষে ১৭টি জায়গায় আঘাত করেছে।
অন্যদিকে রাশিয়ার দুটি সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ফলে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন দশজনেরও বেশি। তবে কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা জানা যায়নি। এই ঘটনায় অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন রুশ সেনা কর্তারা। তবে রুশ সেনার একাংশ এই হামলার দায় ইউক্রেনের ঘাড়ে চাপিয়েছে। তবে এই হামলা নিয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। রুশ সেনা ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনায় সে দেশে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সারাতোভোর আঞ্চলিক গভর্নর রোমার বুসারগিন বলেছেন, কারা এবং কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-সাকেতের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেকের
এরই মধ্যে ফ্রান্স ও পোল্যান্ডের পর হাঙ্গেরিও জানিয়েছে, তাদের পক্ষে আর খুব বেশিদিন ইউক্রেনকে সাহায্য করা সম্ভব হবে না। করোনাজনিত কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই চরম মন্দার মুখে পড়েছে। প্রতিটি দেশের অর্থনীতিতেই একটা বড় ধাক্কা দিয়েছে করোনা। সে কারণেই আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে সাহায্য করে গেলেও তারা আর বেশিদিন সাহায্য করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষে যা বড় মাপের সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ সামরিক দিক থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিধর দেশ।