উচ্ছেদ করতে গিয়ে বিক্ষোভে রেল

রেলের পদস্থ কর্তারা বিশাল আরপিএফ বাহিনী নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে শামিল হন। খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন

Must read

সংবাদদাতা, হাওড়া : শালিমারে উচ্ছেদ করতে গিয়ে মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে পড়ে ফিরে যেতে বাধ্য হল রেল। মঙ্গলবার হাওড়ার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় শালিমারের ডিউক রোডের বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করতে গিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের পদস্থ কর্তারা বিশাল আরপিএফ বাহিনী নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে শামিল হন। খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

আরও পড়ুন-আরও ১২ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে সাইকেল

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দক্ষিণ হাওড়া তৃণমূলের সভাপতি ও পুরনিগমের ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চৌধুরি। তিনি রেল কর্তাদের সাফ জানিয়ে দেন, উপযুক্ত পুর্নবাসন ছাড়া একজনকেও উচ্ছেদ করা যাবে না। সৈকত চৌধুরি জানান, ‘‘এখানে ৩২টি পরিবার বসবাস করে। তাঁদের সবার ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ সমস্ত বৈধ পরিচয়পত্র আছে। প্রত্যেকে এখানে ৩০-৪০ বছর ধরে বসবাস করছে। রেল হঠাৎ এসে তাঁদের দখলদার তকমা দিয়ে জোর করে উচ্ছেদ করে দিতে চাইছে। আমরা তা হতে দেব না। আমরা উন্নয়নের পক্ষে। কিন্তু পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করে কোনও কিছু করা চলবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য উন্নয়নে দেশের প্রথমে আছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোথাও একজনকেও পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করতে দেননি। কাউকে গৃহচ্যুত করা হয়নি। তাই আমরা রেলকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি পুনর্বাসন ছাড়া এখানে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। আমরা কর্পোরেশনের তরফে কয়েক বছর এঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে এলাকাটি সংস্কার করতে চেয়েছিলাম। তখন রেল আমাদের বাধা দিয়েছিল। এখন রেল কর্তপক্ষই পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করতে আসছে। আমরা এটা কিছুতেই হতে দেব না।’’

আরও পড়ুন-১২ ঘণ্টার রেল রোকো নাকাল হলেন যাত্রীরা

এলাকার বাসিন্দারাও স্পষ্ট জানান, ‘‘আমরা রীতিমতো কর দিই। আমাদের নাগরিক পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। তাহলে পুনর্বাসন ছাড়া কেন আমাদের উচ্ছেদ করা হবে?’’ এদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও এলাকাবাসীদের দফায় দফায় কথা বলার পর ফিরে যেতে বাধ্য হন রেল কর্তা ও আরপিএফ অফিসাররা। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘এলাকাবাসীদের পাশে আমরা আছি। পুনর্বাসন ছাড়া এখান থেকে কাউকে উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবে না।’’

Latest article