কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর: ‘বিজেপি তালিবানের মতো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা কাটার কথা বলে। আমাদের সিআইডি অফিসারদের উত্তরপ্রদেশে হেনস্থা করে। জঙ্গিপুরের প্রার্থী জাকির হোসেনকে ভোট দেওয়া মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করা। সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়া। তাই একটা ভোটও বিজেপিকে নয়।’ জঙ্গিপুরের প্রার্থী জাকির হোসেনের সমর্থনে সভা করতে এসে বললেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
নির্বাচনীবিধি মেনে দলীয় দুই প্রার্থীর সমর্থনে জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে জোড়া সভা করলেন ফিরহাদ। দু জায়গাতেই তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার আবেদন জানালেন। জঙ্গিপুরের মির্জাপুর লাইব্রেরি মাঠে নির্বাচনী প্রথম সভায় জোর গলায় বলেন, ‘এখানকার বিজেপি প্রার্থী একা হয়ে গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে কেউ নেই।’ স্পষ্ট জানালেন, ‘আমরা কখনও কারও কাছে মাথা নত করব না।’ এ ছাড়া কয়লা, গরুপাচার ইস্যুতেও বিজেপিকে একহাত নেন তিনি। জানান, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা কাজ করছে। গরুপাচার সীমান্ত দিয়ে হয়। এর জন্য পুরোপুরি দায়ী সীমান্তরক্ষী বাহিনী।’
আরও পড়ুন :শীতলকুচি কাণ্ডে হাজিরা এড়ানোয় জওয়ানদের বিরুদ্ধে সমন
৫৮ নম্বর জঙ্গিপুর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জাকিরের সমর্থনে কর্মিসভায় ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও ছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখেরুজ্জামান, হুমায়ুন কবির, সাংসদ আবু তাহের খান, সাংসদ খলিলুর রহমান, বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল, বিধায়ক মহম্মদ আলি সাহেব, সায়নি সিংহরায়, গৌতম ঘোষ প্রমুখ। সামসেরগঞ্জে দলীয় প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থনে ভোট প্রচার করলেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদের আগমনকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসাহ ছিল বিপুল। সোমবার সামসেরগঞ্জের ভাসাইপাইকর হাইস্কুল মাঠে জনসভা করেন তিনি। সভায় ছিলেন জঙ্গিপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সাংসদ খলিলুর রহমান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আখরুজ্জামান, বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, আবু তাহের খান প্রমুখ। করোনাবিধি ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে এক হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে সভা হয়। প্রবেশপথে সকলকে দেওয়া নির্দিষ্ট স্লিপ ও হাতে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক।