সংবাদদাতা, হাওড়া: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলিকে নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশে গবেষণা হচ্ছে। এই সমস্ত জনমুখী প্রকল্পগুলির সৌজন্যে রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতির অনেক উন্নতি হয়েছে। তার সুফল পেয়েছেন রাজ্যের কৃষকরাও। কেন্দ্রের কৃষি নীতির জেরে কৃষকরা যেখানে ক্ষতির মুখে পড়ছেন সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা কৃষকবন্ধু-সহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যের অগণিত কৃষক। রবিবার বিকেলে উদয়নারায়ণপুরে আয়োজিত এক সমাবেশে একথা বলেন কিসান খেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু (TMC- Purnendu Basu)। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২০১১ সালের পর রাজ্যের কৃষকদের অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। মহাজনী প্রথা উঠে গেছে। কেন্দ্র সরকার কৃষকদের কোনও সম্মান দেয়নি। উল্টে কৃষকদের ক্ষতি করেছে। এবারের পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্র কীভাবে কৃষকদের বঞ্চনা করেছে গ্রামে গ্রামে তা প্রচার করার জন্য দলের কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি। নিজেও গ্রামে গ্রামে গিয়ে একথা তুলে ধরবেন বলে পূর্ণেন্দু বসু (TMC- Purnendu Basu) জানান। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা লক্ষ্মীভাণ্ডার, সবুজসাথী, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, কৃষকবন্ধুর মতো জনমুখী প্রকল্পগুলি নিয়ে সারা বিশ্বে গবেষণা চলছে। দেশ-বিদেশের বহু গবেষক এই রাজ্যে এসে দেখছেন কীভাবে এই প্রকল্পগুলি রূপায়িত হচ্ছে। এটা আমাদের সবার কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তিনি বলেন এমন একজনও নেই যিনি ফর্ম ফিলআপ করে সমস্ত শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পাননি। তৃণমূলের হাওড়া জেলার (গ্রামীণ) চেয়ারম্যান ও বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘জানুয়ারি মাস থেকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার জোরকদমে শুরু হয়ে যাচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় বাড়ি বাড়ি চলবে প্রচার। রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পগুলিকে আরও বেশি করে মানুষের মধ্যে তুলে ধরা হবে।’ সমাবেশে উদয়নারায়ণপুর কেন্দ্র তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রে নির্ভয়া তহবিলের টাকায় কেনা গাড়ি চড়ছে শাসক দলের সদস্যরা!