সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশ্বভারতীর অচলাবস্থার যাবতীয় দায় পড়ুয়াদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সভাগৃহে বিশ্বভারতীর সমস্ত আধিকারিক, বিভাগীয় অধ্যক্ষ, জয়েন্ট রেজিস্ট্রার, অ্যাসিট্যান্ট রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও রেজিস্ট্রার উপস্থিত হয়ে একযোগে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে গৃহবন্দি করে রাখার তীব্র নিন্দা করল। সেখানে জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২৩ নভেম্বর বিকেলে এক ছাত্রী এবং আরেক প্রাক্তন ছাত্র গেট টপকে উপাচার্যের অফিসে ঢুকে পড়েন।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের স্বীকৃতি, রাজ্যে সেরা টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল
ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন সেখানে ছিলেন রাজ্য সরকারের পুলিশ, উপাচার্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী, একজন কর্মী ও একজন অধ্যাপক। পরে সমস্ত গেটে তালা মেরে দেয় আন্দোলনকারীরা। তাদের কাছে লিখিত দাবি চাইলেও, তা না দিয়ে শুধুমাত্র উপাচার্যের পদত্যাগ চাওয়া হয়। এ ছাড়াও অশ্রাব্য এবং অসাংবিধানিক ভাষায় উপাচার্যকে গালিগালাজ করা হয়। সেখানে সেই সময় ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। তিনি তাদের উৎসাহ দেন। ২৩ নভেম্বর রাত আড়াইটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী ও কর্মীরা উপাচার্যকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন-বদলের প্রস্তাব নেই
তারপর ২৪ নভেম্বর থেকে এখনও উপাচার্যকে গৃহবন্দি করে অবস্থান বিক্ষোভ করছে আন্দোলনকারীরা। বলা হয়েছে, সমাবর্তন স্থগিত হয়েছে, বাতিল হয়নি। তবে কবে হবে এবং কেন তার সূচি গোপন রাখা হল তার সদুত্তর দিতে পারেনি। আন্দোলনকারী সোমনাথ সৌ ও ছাত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য জানান, অনেকবার লিখিত আকারে দাবি জানিয়েও তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়নি বলেই আজকে তাঁদের ধর্নায় বসতে হয়েছে। তাছাড়া উপাচার্য আদালতের নির্দেশ না মেনে ছাত্রভর্তি আটকে রেখেছেন। গবেষণাপত্র জমা দিতে দিচ্ছেন না।