প্রতিবেদন : সদ্য ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রবীণ নেতা পীযূষকান্তি বিশ্বাস। ত্রিপুরা থেকে স্বৈরাচারী বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া প্রবীণ আইনজীবী নেতার উপরেই ভরসা রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের দায়িত্ব নিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছেন পীযূষবাবু। সাফ বলেছেন, ত্রিপুরাবাসী আর বিজেপিকে ক্ষমতায় দেখতে চান না। রাজ্যের মানুষ স্বৈরতান্ত্রিক, স্বেচ্ছাচারী, অমানবিক বিজেপি সরকারের হাত থেকে মুক্তি চাইছে। মাসতিনেক পরেই বিধানসভা নির্বাচন। ত্রিপুরার মানুষ ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন যে, আর বিজেপিকে সমর্থন নয়। নতুন বছরের শুরুতেই ত্রিপুরার আকাশে তৃণমূল কংগ্রেসের সূর্যোদয় হবে। যদিও ক্ষমতা ধরে থাকতে বিজেপি মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশ ও প্রশাসনকে দিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মী সকলকেই হুমকি ও হেনস্তা করা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা-কর্মী বা সৈনিককে ভয় দেখানো যায় না। আমরা ভয় পাই না। বিজেপি জেনে রাখুক, ২০২৩-এর শুরুতে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসই সরকার গঠন করবে।
আরও পড়ুন-বারবার টার্গেট হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্রের আঘাত : সুদীপ
ত্রিপুরায় দলের দায়িত্বে থাকা নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে তোপ দেগেছেন। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। বিজেপি দেওয়াল লিখন পড়তে পেরেছে। তারা বুঝে গিয়েছে, কোনওভাবেই তাদের পক্ষে আর ত্রিপুরায় ক্ষমতায় ফেরা সম্ভব নয়। ক্ষমতা দখল করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তারা আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। তবে এই অগণতান্ত্রিক বিজেপি সরকার যাই করুক না কেন, তারা এটা বুঝে গিয়েছে যে, আগামী বছরের শুরুতেই তাদের কুশাসনের অবসান হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বেই ত্রিপুরায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে।
আরও পড়ুন-বাবাকে ৩২ টুকরো করে মারল ছেলে
দলের রাজ্যসভার সংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। বিজেপি নেতারা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন। তাই তারা নির্বাচনের আগে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। বিজেপি বুঝে গিয়েছে, উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি বাড়ছে তাতে ত্রিপুরায় তাদের পক্ষে আর ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব নয়।