প্রতিবেদন : তৃণমূল গুনে গুনে দশ গোল দিল বিজেপিকে। মঙ্গলবার হাজরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় যে জনসমাগম হয়েছিল তা সোমবার গেরুয়া শিবিরে সভার তুলনায় দশগুণেরও বেশি। সঙ্গত কারণেই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মন্তব্য করলেন, বিজেপিকে গুনে গুনে দশ গোল দিলাম। লালন শেখের মৃত্যুরহস্যের কিনারা করতে অবিলম্বে বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতারের দাবি উঠল এদিনের সমাবেশে। বক্তাদের ভাষণে একই সুর, এই ঘটনার জবাবদিহি করতেই হবে সিবিআইকে।
আরও পড়ুন-জমিদাতারা চান তৃণমূলের হস্তক্ষেপ
তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ কলকাতা জেলা কমিটির ডাকে এদিন এক বিশাল জনসমাবেশ হয় হাজরা মোড়ে। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং বিমাতৃসুলভ আচরণের প্রতিবাদে। দলের রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ মালা রায়, জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমার, বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র, মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ বক্সি সকলেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন। সুব্রত বক্সি বললেন, জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপসহীন সংগ্রামের ফসল আজকের এই তৃণমূল। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের মন্তব্য, বিজেপির থেকে বড় চোর আর নেই। সমবেত জনতা গর্জে ওঠে দলবদলু শুভেন্দুর গদ্দারি-বেইমানির বিরুদ্ধে। ২ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ— প্রত্যেকেই লালন শেখের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আঙুল তুললেন সিবিআইয়ের দিকে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জন
ফিরহাদ হাকিমের কথায়, যে কাজ সিবিআই করল তার জবাব দিতেই হবে তাদের। আরও আক্রমণাত্মক হয়ে কুণাল ঘোষ সরাসরি দাবি তুললেন, শুভেন্দুকে গ্রেফতার করে এই মৃত্যুরহস্যের তদন্ত করতে হবে। তাঁর প্রশ্ন, ১২ তারিখের কথা শুভেন্দু বারবার বলছিল কেন? তাহলে নিশ্চয়ই এই ঘটনা ঘটবে বলে জানত। তাই কলার ধরে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করতে হবে এখনই। একই প্রশ্ন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের, তাহলে কি বিরোধী দলনেতার জানাই ছিল ১২ তারিখে এমন ঘটনা ঘটবে? জবাবদিহি করতে হবে তাঁকেই।
আরও পড়ুন-পিএফ বঞ্চনা, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক
ফিরহাদ হাকিমের কথায়, বগটুইয়ের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। গ্রেফতারও করেছিল কয়েকজনকে। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় তদন্তভার। লালনের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ৫০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল সিবিআই। তৃণমূল নেতাদের নাম বলতে বলেছিল। পিটিয়ে মারা হল তাঁকে। শুভেন্দুর পরিবারের কতজন সরকারি পদ এবং চাকরি পেয়েছে তার তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করার দাবি জানান কুণাল। বিরোধী দলনেতাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, যাঁকে একদিন মা বলেছিল, তাঁর প্রতি এমন ব্যবহার। এ কেমন সন্তান? যাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে সে আবার বড় বড় কথা বলে!