পিএফ বঞ্চনা, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পিএফ সমস্যা না মিটলে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই বিজেপির স্থানীয় সাংসদ, বিধায়কদের বাড়ি ঘেরাও করবেন বঞ্চিত চা-শ্রমিকরা

Must read

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : চা-শ্রমিকদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে অবস্থান মঞ্চ থেকেই আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক উঠল। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পিএফ সমস্যা না মিটলে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই বিজেপির স্থানীয় সাংসদ, বিধায়কদের বাড়ি ঘেরাও করবেন বঞ্চিত চা-শ্রমিকরা। গর্জে উঠল শতাধিক শ্রমিক কণ্ঠ। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সাক্ষী থাকল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চা-শ্রমিকদের প্রতিবাদের ঘটনায়। তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-উত্তাল বিশ্বভারতী, উপাচার্য ছুঁড়লেন ঢিল

পিএফ অফিসের সামনে অবস্থান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা সহ্য করব না। দাবি না মানলে আন্দোলন আরও তীব্রতর করা হবে। নাম না করে স্থানীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও তোপ দাগেন তিনি। বলেন, এই ডুয়ার্সে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন যিনি পেশায় চা-শ্রমিক ছিলেন। তিনি চা-শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেননি। উল্টে নিজের জন্য প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করেছেন, সরকারি জমি দখল করে শপিং মল তৈরি করেছেন, পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বার্থ না দেখে নিজেই একটা চা-বাগানের মালিক হয়েছেন। অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বুলুচিক বড়াইক।

আরও পড়ুন-এমপি কাপ সাত গোল তারকের

মন্ত্রী মলয় ঘটকও এদিন ঝাঁঝালো বক্তব্যে কেন্দ্রকে বিদ্ধ করেন। তিনি বলেন, আধার কার্ড লিঙ্কের নামে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রতারণা করছে পিএফ দফতর তার জবাব এবার শ্রমিকরা দেবেন। তাঁরা একত্রিত হয়েছেন দাবি আদায়ে। মোদি সরকার এবার বুঝতে পারবে প্রতিবাদ কাকে বলে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে প্রয়োজনে আমরা দিল্লি অভিযান করব। সভা চলাকালীন এদিন ডুয়ার্সের চা-শ্রমিক নেতারা জলপাইগুড়ি পিএফ দফতরের কমিশনারকে তাঁদের এই সমস্ত দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক বলেন, শ্রমিকদের পিএফের টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে দেওয়ার ব্যবস্থা করা কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, কিন্তু শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি। এদিনের প্রতিবাদ সভায় ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপ, আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশচিক বড়াইক, তৃণমূল চা-শ্রমিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল সোনার, সভাপতি বীরেন্দ্র ওরাওঁ, রাজেশ লাকড়া, বিনোদ মিনজ, নির্জল দে প্রমুখ।

Latest article