প্রতিবেদন : ধার নেওয়া টাকা ফেরত না দেওয়ার ছক কষেছিল বাড়িওয়ালা। তাই ভাড়াটে গবেষককে মেরে চার টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। গবেষকের বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে গবেষক সেজে চ্যাট করতে গিয়েই ধরা পড়ল গুণধর বাড়িওয়ালার কীর্তি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের মোদিনগরে। অভিযুক্ত উমেশ শর্মার বাড়িতে ভাড়া ছিলেন অঙ্কিত। পিএইচডি করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-রাজ্যসভায় এবার কলেজিয়াম প্রথার সমালোচনা মন্ত্রীর
ব্যবসা করবেন বলে অঙ্কিতের কাছ থেকে উমেশ ৪০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ব্যবসা চলেনি। লোকসানের কারণে তাঁর পক্ষে টাকা ফেরত দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তাই যাতে টাকা ফেরত দিতে না হয় তার জন্য অঙ্কিতকে খুনের ছক কষেন উমেশ। পুলিশ জানিয়েছে, ৬ অক্টোবর গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে উমেশ খুন করেন অঙ্কিতকে। তার পর গাছ কাটার করাত দিয়ে চার খণ্ড করেন দেহ। তিনটি টুকরো ভাসিয়ে দেন মুজফফরনগরের গঙ্গা খালে। একটি টুকরো ফেলেন দসনার জঙ্গলে।
আরও পড়ুন-আলোচনায় বাধা
অঙ্কিতকে খুন করার পর যাতে কারও সন্দেহ না হয়, সে জন্য তাঁর ফোন থেকে উমেশ নিজেই সবাইকে বার্তা পাঠান। এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অঙ্কিতের খোঁজ না পেয়ে নিখোঁজ বন্ধুর খোঁজ পাওয়ার জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলেন বন্ধুরা। তাতে অঙ্কিতকেও যোগ করা হয়। কিছুদিন পর সেই গ্রুপে বার্তা পাঠানো শুরু করেন উমেশ। কিন্তু বন্ধুদের সন্দেহ হয় অঙ্কিতের পাঠানো বার্তা দেখে। বন্ধুরা পুলিশকে জানান, অঙ্কিত কখনওই কাউকে তুই বলে সম্বোধন করতেন না। সর্বদাই সকলকে আপনি বলতেন। কিন্তু হঠাৎই অঙ্কিত যখন নতুন করে বার্তা পাঠানো শুরু করেন, তখন তিনি সবাইকেই তুই বলে সম্বোধন করছিলেন।
আরও পড়ুন-পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি, মন্ত্রীর জবাবে ক্ষুব্ধ বিরোধীদের সভাত্যাগ
এরপরই পুলিশ পৌঁছয় অঙ্কিতের বাড়িওয়ালা উমেশের কাছে। উমেশ নিজেও দাবি করেন, তাঁকেও বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠিয়েছেন অঙ্কিত। যদিও ফোন করলে ফোন ধরছেন না তিনি। এরপর পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েন তিনি। স্বীকার করে নেন, ৬ অক্টোবর গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে তিনিই মেরেছেন অঙ্কিতকে। কারণ ধার নেওয়া ৪০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য তাঁর ছিল না। পুলিশ উমেশকে গ্রেফতার করেছে।