প্রতিবেদন : নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার জন্য নির্বাচন কমিশন একাধিক ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু সেই কমিশনকে যে মোদি সরকার কার্যত কুক্ষিগত করে রেখেছে তার প্রমাণ মিলল। সাধারণ নিয়ম হল, নির্বাচন মিটে যাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত নথিপত্র কমিশনে জমা দিতে হয়। কিন্তু মেঘালয়ে দীর্ঘ সাড়ে চার বছরেও সেই কাজটি করতে পারিনি ক্ষমতাসীন এনপিপি সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস সম্প্রতি এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে শাসক দলের অনুমোদন বাতিলের দাবি তুলেছে।
আরও পড়ুন-ছুটি নিয়ে কেন্দ্রের আপত্তি ওড়ালেন প্রধান বিচারপতি
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, যেহেতু এনপিপি সরকারের জোটশরিক বিজেপি, সে কারণেই তারা এই অন্যায় ও অনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে। বিষয়টি ছেড়ে দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। এ ব্যাপারে দলের তরফে জানানো হয়েছে, মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালে। তারপর সাড়ে চার বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু শাসকদল এনপিপি ২০২২ সালের শেষে এসেও নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবনিকাশ জমা দিতে পারেনি। সে কারণেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে মেঘালয় হাইকোর্টে একটি অন্তর্বর্তীকালীন আবেদন দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে এনপিপির অনুমোদন বাতিল করা এবং একইসঙ্গে তাদের দলীয় প্রতীকও বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে।