সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : মহম্মদবাজার থানার পাঁচামির পুরাতন হাবড়াপাহাড়িতে গুলিকাণ্ডে নিহত মুর্শিদাবাদের শ্রমিক ধানু শেখের পরিবারের পাশে দাঁড়াল বড়ঞা থানার পুলিশ। দিন পনেরো আগে বড়ঞা থানার পাঁচথুপি-বেলগ্রামের বাসিন্দা ধানু হাবড়াপাহাড়িতে এক চায়ের দোকানে বসে স্থানীয় স্কুলশিক্ষক ধানু হাঁসদার সঙ্গে গল্প করছিলেন। সেই সময় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী ধানু হাঁসদাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে পাথর খাদান শ্রমিক ধানু শেখ খুন হয়ে যান।
আরও পড়ুন-ভিড়ে ঠাসা কর্মী সম্মেলনে শুরু পঞ্চায়েত ভোটপ্রস্তুতি
ঘটনার পর থেকে মুর্শিদাবাদে নিজেদের বাড়িতে এক প্রকার অনাহারে কাটছিল স্ত্রী আনারকলি বেওয়া-সহ অবিবাহিত মেয়ে ও নাবালক সন্তানের। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ধানুর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বড়ঞা থানার ওসি সন্দীপ সেন। পরিবারের হাতে তুলে দেন শীতবস্ত্র-সহ ১০ হাজার টাকা। আনারকলিকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে তাঁর বাড়িতে একটি মুদির দোকান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। ওসির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান বেলগ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন-বেধড়ক মারের পর চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়াকে ছুড়ে ফেলে খুন শিক্ষকের
সন্দীপবাবু বলেন, ‘‘ওসি হিসেবে আমার কর্তব্য এলাকার মানুষের ভালমন্দের খোঁজ রাখা। ওই পরিবার অসহায় জেনে নিজের মাইনে থেকে সাধ্যমতো সাহায্য করলাম। নাবালক সন্তান এবং কন্যা যদি পড়াশোনা করতে চায় সেই দায়িত্বও বহন করব।’’ আনারকলি বলেন, ‘‘বিপদে পুলিশ যেভাবে পাশে দাঁড়াল ভুলব না।’’