প্রতিবেদন : মানুষের প্রতিবাদ বিক্ষোভের জেরে সম্প্রতি চিন করোনা বিধি শিথিল করেছে। বিধিনিষেধ শিথিল হতেই চিনে মহামারীর মতো ছড়াচ্ছে করোনা। যা ফিরিয়ে এনেছে ২০২০-র স্মৃতি। শুধু সংক্রমণ ছড়ানোই নয়, প্রতিদিন সে দেশে কয়েকশো মানুষ করোনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। যদিও শি জিনপিং সরকার সেই সত্য ধামাচাপা দিতে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনের হাসপাতালগুলিতে করোনা আক্রান্তদের ভিড় উপচে পড়ছে।
আরও পড়ুন-ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ, দোষ প্রমাণে হতে পারে ৪০ বছরের কারাদণ্ড
বেড না থাকার কারণে করোনা রোগীদের অনেককেই মাটিতে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনায় মৃতদের শেষকৃত্য নিয়ে বাড়ছে কড়াকড়ি৷ এরিক ফেইগল ডিং নামে এক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, তিন মাসে সে দেশের করোনায় বেশ কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে। প্রতিদিনই প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। যদিও সেই হিসাব কখনওই সামনে আনছে না জিনপিং সরকার। অভিযোগ উঠেছে, মৃত্যু লুকোতে ডেথ সার্টিফিকেটেও কারচুপি করা হচ্ছে। করোনায় মৃত্যু না লিখে লেখা হচ্ছে নিউমোনিয়া। এমনকী, আগের মতোই মৃতের দেহ পরিবারের হাতে না দিয়ে তা সকলের আড়ালেই পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী তিন মাসের মধ্যে চিনের ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ আক্রান্ত হবে। মৃত্যু ছাড়াতে পারে ১০ লক্ষেরও বেশি।
আরও পড়ুন-ঝাড়গ্রামে পুলিশের উদ্যোগে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ
বেজিং পুরনিগমের এক কর্মী জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে এত মৃতদেহ আসছে যে তাঁরা বিশ্রাম নেওয়ার সময়টুকু পাচ্ছেন না। রাতের অন্ধকারের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হচ্ছে একের উপর এক দেহের শেষকৃত্য। যা চলছে ভোররাত পর্যন্ত। যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে প্রমাদ গুনছে গোটা বিশ্ব। অনেকেই মনে করছে, চিন থেকে ফের গোটা বিশ্বেই করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমেরিকার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, যে কোনও মুহূর্তেই চিন থেকে নতুন করে করোনাভাইরাস উল্কার গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে।