প্রতিবেদন : বিজেপির দুই ভাই— সিপিএম আর কংগ্রেস-আই, তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন স্লোগান। এই স্লোগানের কারণ? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গোপন আঁতাঁতে মেতেছে বঙ্গ রাজনীতিতে শূন্যে নেমে যাওয়া এই দুই দল। সাম্প্রতিক কয়েকটি সমবায় সমিতির নির্বাচনেই এই ছবি দেখা গিয়েছে। আবার যেখানে বাম-কংগ্রেস-বিজেপির লড়াই হচ্ছে সেখানেও আগে থেকে নিজেদের মধ্যে ‘সেটিং’ করেই মাঠে নামছে এরা। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস এই তিনটি রাজনৈতিক দলের কেউই সম্পূর্ণ একক ক্ষমতায় বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে পারেনি। অদূর ভবিষ্যতেও সে সম্ভাবনা নেই। তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এবার গোপন আঁতাঁত করতে হচ্ছে। এতকিছুর পরেও কি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলার সরকারকে বিপাকে ফেলা যাবে? শাসক দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসানো যাবে? এক কথায় উত্তর হল, না। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের স্পষ্ট বক্তব্য, আগামী পঞ্চায়েত কিংবা লোকসভা নির্বাচন হোক, এরাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাবে তৃণমূল কংগ্রেসই।
আরও পড়ুন-গঙ্গাসাগর নিয়ে কাল বৈঠক
রাজ্যে প্রায় ৮০ হাজার বুথ রয়েছে। বঙ্গ বিজেপির টিভি নেতা-ট্রেনি সভাপতি-লোডশেডিং অধিকারীরা যতই লম্ফঝম্প করুন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সামান্য কিছু বুথ ছাড়া বাকি হাজার হাজার বুথে প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি। বুথ কমিটি বলে কিছু নেই। কারণ লোক নেই। সঙ্গে রয়েছে শুভেন্দু বিজেপি-সুকান্ত বিজেপি-দিলীপ বিজেপির মতো বঙ্গ বিজেপির একাধিক ডিপার্টমেন্ট। এখন তো দলের অন্দরেই ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি চরমে উঠেছে। দিল্লির নেতাদের হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে গৃহযুদ্ধ থামাতে। তাতেও কাজ হচ্ছে না। এই অবস্থায় নিচুতলায় সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে গোপন আঁতাঁত করা ছাড়া উপায় কী?
আরও পড়ুন-মায়াবী পার্ক স্ট্রিট, আজ উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
সিপিএম-কংগ্রেসও বিজেপির পদলেহনে মন দিয়েছে। আসলে অর্থই যত অনর্থের কারণ। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনগুলিতেও বিপুল অর্থ আর এজেন্সিকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামবে। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির আর্থিক প্রসাদ পেতে আগ্রহী বাম-কংগ্রেস। ফলে নীতি-আদর্শ এসব চুলোর দুয়ারে পাঠিয়ে চলো বিজেপির পিছু পিছু। মহম্মদ সেলিম-সুজন চক্রবর্তীরা মুখে বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক বললেও আসলে বাম-রাম হাতে হাত ধরেই পথ চলছে- চলবে। সঙ্গে জুড়ি শূন্য কংগ্রেস।