নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : দেশে মাদক পাচারের (Drug trafficking) বাড়বাড়ন্ত নিয়ে লোকসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। বাংলার পরিস্থিতি অনেক ভাল জানিয়ে তাঁর প্রশ্ন, একাধিক রাজ্যে মাদকের রমরমা। সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক? বুধবার লোকসভায় স্বল্প সময়ের আলোচনায় তৃণমূলের তরফে বক্তব্য রাখেন সাংসদ সৌগত রায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশে তিনি একাধিক প্রশ্ন করেন। এদিন তিনি বলেন, মাদক পাচারের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি গুরুতর শাস্তির ভাবনাচিন্তা করছেন? সমুদ্রপথ ব্যবহার করে যেভাবে মাদকের (Drug trafficking) চোরাচালান বাড়ছে সেসম্পর্কে সরকারের ভাবনাচিন্তা কী? এই প্রসঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দর সম্পর্কে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চান তিনি। প্রসঙ্গত, গুজরাতে জলপথ ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মাদক পাচার ও উদ্ধারের ঘটনা বারবার সামনে আসছে। তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের বিজেপি সরকারের ভূমিকাও। অন্যদিকে পাঞ্জাব সীমান্তে যেভাবে ড্রোনের মাধ্যমে মাদক চালান হচ্ছে, তা রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার কী করছে জানতে চান সৌগত রায়। তিনি বলেন, ডার্কওয়েব এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে মাদক পাচার হচ্ছে। এগুলি বন্ধ করতে সরকারের ভূমিকা কী? কার্যত একের পর এক প্রশ্নে তিনি নাস্তানাবুদ করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়, উত্তরপ্রদেশ, মিজোরাম, পাঞ্জাব, দিল্লির মতো রাজ্যে মাদকের রমরমা। সেক্ষেত্রে অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, উত্তরপ্রদেশে যেখানে খোলা জায়গায় গাঁজা চাষ হচ্ছে, সেখানে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? ‘পরেরবার ২০০ পার’ স্লোগান দেওয়া ক্ষমতাশালী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ চাই। জবাবি ভাষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, মাদকের রমরমা রুখতে সমস্ত এজেন্সিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এছাড়াও যে সমস্ত দেশ আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদে ইন্ধন দেয়, তারা মাদকের টাকা ব্যবহার করছে। এই নোংরা পথের টাকা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে ফাঁকা করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-পতঞ্জলি-সহ ১৬টি ভারতীয় ওষুধ কালো তালিকাভুক্ত করল নেপাল