সংবাদদাতা, বোলপুর : পৌষ উৎসবে আমন্ত্রিত-তালিকায় তাঁর নাম না থাকায় নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছেন, দুর্নীতিপরায়ণদের সঙ্গে এক মঞ্চে বসতে হবে না, এটাই স্বস্তি। ডাকবাংলো মাঠে রাজ্য সরকার আয়োজিত ছ দিনের বিকল্প পৌষমেলার সূচনা করে তার যোগ্য জবাব দিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বলেন, উপাচার্যকে যাঁরা নিয়োগ করেছেন, তাঁরা গুজরাট দাঙ্গার কারণে জেলে ছিলেন।
আরও পড়ুন-গদ্দার, বেইমান-মুক্ত জেলা গড়ার ডাক
পরে ক্লিনচিট পেয়েছেন৷ যতক্ষণ না কেউ দোষী সাব্যস্ত হন, ততক্ষণ তিনি অপরাধী নন৷ রবীন্দ্র-আদর্শ সরিয়ে আরএসএস-এর আদর্শ নিয়ে নিয়ে আসছেন, ওঁর উপাচার্য থাকাই উচিত নয়৷ বাবার বন্ধু ছিলেন আশ্রমিক অধ্যাপক সৌমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবার সঙ্গে কতবার তাঁর বাড়ি এসেছি। মেলায় ঘুরেছি। ভাবতাম, এইখানেই এই গাছতলায় কবিগুরু বসেছেন। এই পথ দিয়ে হেঁটেছেন। আমাদের আবেগ বিশ্বভারতী। তিনি আর্য-অনার্য, হিন্দু-মুসলমান সকলকে আশ্রয় দিয়েছেন। বঙ্গভঙ্গের সময় সবাইকে একতাবদ্ধ করেছেন। কয়েকবছর ধরে বিশ্বভারতীতে সেই ভাবধারার অভাব চোখে পড়ছে। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, পৌষমেলা শুধু নয়, একে একে সব বন্ধ হয়ে যাবে। ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সুভাষ দত্ত, বিধান রায়, নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী প্রমুখ।