সংবাদদাতা, কাটোয়া : রূপসী বাংলার সনাতন দৃশ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ২১ বছর ধরে ২৫-২৬ ডিসেম্বর এলাকার হাজার হাজার মৎস্যজীবী ও আমজনতাকে নিয়ে দুদিনের খালবিল উৎসবে মাতেন। প্রতি বছরই থিম সং লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। আজও উৎসবের সূচনা হবে তাঁর লেখা গান ‘খালবিল আর জলাশয়ে ভরা রূপসী বাংলার কন্যা/ওদের সবাই যত্ন কোরো, ওরা যে অনন্যা।’ দিয়ে ইতিমধ্যে তালিম নিয়েছেন জেলেবউরা।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতিসভা সেরে মহিলাদের দুয়ারে মন্ত্রী
বছরভর জলাশয় বাঁচানো, পাখিদের স্থায়ী ঠিকানা বাঁধা, নানা প্রজাতির চুনোচানা মাছের চাষ, সবুজায়নের কাজে নিরলস স্বপনবাবু। নাদনঘাটের কোবলা, গঙ্গানন্দপুর, কুটিরপাড়া, চকরাহাতপুর, তুলসীডাঙা, চাঁপাহাটি-সহ লাগোয়া এলাকার হাজারের উপর মৎস্যজীবীদের জিয়নকাঠি হল প্রায় ১০০ একর জায়গার সুবিশাল জোড়া জলাশয় বাঁশদহ ও চাঁদের বিল। রাজ্যের মৎস্য দফতর, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ও পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সহায়তায় এই বিল দুটিতে খয়রা, পুঁটি, চ্যালা, ভ্যাদা, সোনাখড়কে, চ্যাং, বেলে, মৌরলা, ফ্যাসা, চাঁদা, খলসে ইত্যাদি ১৭ রকমের চুনো মাছ চাষ হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবথেকে বড় প্রাপ্তি মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা।
আরও পড়ুন-সেনার প্রতি শ্রদ্ধা
তিনি উৎসব সম্পর্কে অবহিত শুধু নন, থিম সংটিও লিখে দিয়েছেন।’ উৎসব উপলক্ষে সেজেছে গোটা এলাকা। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ার উদ্যোগও শুরু হয়েছে। মনোরম প্রকৃতির পাশাপাশি চৈতন্যদেবের স্মৃতিবিজড়িত জায়গা রয়েছে আশপাশে। তৈরি হয়েছে অতিথিনিবাস। জলাশয় দুটির সঙ্গে খাল কেটে ভাগীরথীকে জুড়ে দেওয়ায় জলের ঘাটতি নেই। সবুজে মোড়া গোটা এলাকা। ফলে পাখপাখালিরও অবাধ বিচরণক্ষেত্র। উইক-এন্ড ট্যুর বা চড়ুইভাতির মডেল ঠিকানার সঙ্গে বাড়তি পাওনা বড়দিনের ‘খালবিল’ উৎসব। মাঝবিলে নৌকামঞ্চে দিনভর চলবে বাউল, পল্লিগীতি, ভাটিয়ালির মাতাল করা সুর।