হাই কোর্টকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল ত্রিপুরা পুলিশ। মুখ পুড়ল বিপ্লব দেব সরকারের। ত্রিপুরা হাইকোর্ট নির্দেশ দিল,তৃনমুল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সহ যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে অন্যায়ভাবে ত্রিপুরা পুলিশ অভিযোগ এনেছিল তাঁদের কাউকেই আর কেনওরকম নোটিশ পাঠাতে পারবে না ত্রিপুরা পুলিশ৷
আরও পড়ুন-‘স্পেশাল’ আসানসোলের জন্য তহবিল থেকে কত খরচ? অভিযোগের ভিত্তিতে খতিয়ান প্রকাশ বাবুল সুপ্রিয়র
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কেন অত শরীর খারাপ নিয়েও ত্রিপুরার খোয়াই থানার নোটিসে সাড়া দিয়ে আগরতলায় গিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা হাইকোর্টে তা হাড়ে মজ্জায় টের পেল বিপ্লব দেবের পুলিশ।
আরও পড়ুন-পুজোর মরশুমে বাজারে এলো ২৩ টন পদ্মার ইলিশ
তৃণমূলের এই কোয়াশিং পিটিশনের শুনানিতে প্রথম দিন ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেছিলেন পুলিশের তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে।
এদিন প্রধান বিচারপতির এজলাসে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা ও বিশ্বজিৎ দেব জানান, ওরা মিথ্যে বলেছিল। তারপর কুণাল ঘোষকে নোটিশ পাঠিয়েছে। উনি ২১/৯ কমপ্লাইও করেছেন। এরপর প্রধান বিচারপতি নোটিস ও নথি দেখতে চান। আইনজীবীরা তা পেশ করেন। প্রমাণ হয়ে যায় বিপ্লব দেবের পুলিশ দ্বিচারিতা করেছে।
কুণালের ঘোষের নথি দেখার পর কোর্ট বলে দেন আর কাউকে নোটিস পাঠানো যাবে না। পরবর্তী শুনানির জন্য ত্রিপুরা সরকার সময় চায়। কারণ এদিন ত্রিপুরার এডভোকেট জেনারেল উপস্থিত ছিলেন না। সব শোনার পর বিচারপতি পুজোর পর ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়ে দেন।
এদিকে কুণাল ঘোষ এখনও হাসপাতালে ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলের বিমানে তাঁকে কলকাতা ফরানোর তোড়জোড় চলছে৷