প্রতিবেদন : বর্ষবরণের আগে ভূস্বর্গে ফের বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করল নিরাপত্তারক্ষীরা। বুধবার সকালে বিশেষ অভিযানে পাক সীমান্ত পেরিয়ে আসা চার জঙ্গিকে খতম করেছে যৌথবাহিনী। মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে ৭টি একে-৪৭ রাইফেল, প্রচুর কার্তুজ ও হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। তবে নিহত জঙ্গিদের পরিচয় জানা যায়নি। উপত্যকার নিরাপত্তা নিয়ে এদিনই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগে চার জঙ্গিকে নিকেশের ঘটনাকে বড়সড় সাফল্য বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
জম্মু পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক মুকেশ সিংহ জানিয়েছেন, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) জাতীয় সড়কের সিধরা বাইপাসে তাওয়াই সেতুর কাছে একটি লরির গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় টহলদারিতে থাকা পুলিশ কর্মীদের। লরিটিকে থামিয়ে তল্লাশি চালানো শুরু করেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গেই লরির ভিতরে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। প্রথমে কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়লেও সম্বিৎ ফিরতেই জঙ্গিদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলে। শেষ পর্যন্ত লরিতে থাকা চার জঙ্গিই খতম হয়। তবে এই লড়াইয়ের মাঝেই গা-ঢাকা দেয় লরির চালক। জম্মু পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক জানিয়েছেন, মৃত জঙ্গিরা পাক সীমান্ত পেরিয়ে জম্মুতে (Jammu-Kashmir) ঢুকেছিল। অনুপ্রবেশের পর লরি করে জম্মু থেকে কাশ্মীরে যাচ্ছিল।
নববর্ষে যাতে উপত্যকায় কোনও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা সুনিশ্চিত করতেই এদিন লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা-ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের এদিন আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন শাহ।
আরও পড়ুন-নোট থেকেও সরিয়ে দিন বাপুর ছবি! মোদিকে কটাক্ষ মহাত্মার প্রপৌত্রের