প্রতিবেদন : প্রবল বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে ভবানীপুর উপনির্বাচনে তাঁর দ্বিতীয় দিনের প্রচারে কার্যত ঝড় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মানুষ দু’হাত তুলে তাকে সমর্থনের বার্তা দিলেন। এদিন চক্রবেড়িয়া রোডে তৃণমূল নেত্রীর সভায় যা চোখে পরলো, তা যদি ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট বাক্স প্রতিফলিত হয়, তাহলে কাঙ্খিত মার্জিনকেও ছাপিয়ে যাবে জয়ের ব্যবধান।
ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের এই চক্রবেড়িয়া-পদ্মপুকুর অঞ্চল মানেই কিন্তু “মিনি ইন্ডিয়া”। ছোটখাটো ভারতবর্ষ। সব ধর্মের, সব বর্ণের মানুষের বসবাস। এদিন স্থানীয় জৈন মন্দিরে প্রার্থনা করে সভায় যোগদান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,”ভবানীপুরের এই অঞ্চলটি মিনি ইন্ডিয়া। ছোটখাটো ভারতবর্ষ। সব ধর্মের, সব বর্ণের মানুষের বসবাস। আমি কৃতজ্ঞ। সবাই আমাকে সাহায্য করেন।দুর্গাপুজো, কালীপূজা, গুরুনানক, জৈন, সকলের উৎসব এখানে পালিত হয়। তাই তো আমি বলি ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ভবানীপুর থেকে ভারত শুরু হয়। V ফর ভবানীপুর, V ফর ভারত। এখান থেকেই ভারতবর্ষ দেখতে হবে।”
আরও পড়ুন : জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ এক লাখের টার্গেট বেঁধে দিলেন অভিষেক
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনার এখান থেকে আমাকে ৬ বার সাংসদ করেছেন। দু-বার বিধায়ক করেছেন। আমি বিধায়ক না হলে মুখ্যমন্ত্রী থাকাটা শোভনীয় নয়। তাই আপনাদের এক একটি ভোট আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
একেই উপনির্বাচন, তার উপর প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। জয় নিশ্চিত। কিন্তু আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। তারপর একনাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত এলাকার মানুষ। ফলে ভোটবদানে অনেকের অনীহা থাকতেই পারে। তাই “মিনি ইন্ডিয়া” চক্রবেড়িয়া থেকে তৃণমূল নেত্রীর আর্জি, “প্রকৃতি আমাদের হাতে নেই। জল যাতে না জমে সেই চেষ্টাই করি আমরা। আগে তো ৭-৮দিন জল জমে থাকতো। এখন তো ১-২দিনে পরিষ্কার হয়ে যায়। একটি দিন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোট দিন। ৩৬৫দিন যে কাজটি আমি করি, যদি আমাকে চান তাহলে ওইদিন সমস্ত বিপর্যয়কে রুখে ভোট দিন। ওইদিন আমরা ছুটিও ঘোষণা করেছি। এক নম্বর বোতাম টিপে ভোট দিন। ঠিক জায়গায় ভোট পড়ল কিনা, তা ভিভি প্যাটে দেখে নেবেন। নিজের অধিকার প্রয়োগ করুন। একদিন ভোট দিন ৫ বছর নিশ্চিন্তে থাকুন।করোনা বিধি মেনে ভোট দিন। আমি একা একা ভালো থাকতে চাই না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই। সবাইকে নিয়ে বাঁচতে চাই।”