সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : ঢাক ঢোল পিটিয়ে যাত্রা শুরু করল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে নিউজলপাইগুড়ি চলবে এই নতুন সেমি হাইস্পিড ট্রেনটি। এই ট্রেনের উদ্বোধনের দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলাকে এক হাত নিলেন জেলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বাড়াইক ও আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক তথা এসজেডিএর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। জেলাসভাপতি বলেন, আলিপুরদুয়ারের মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বরাবরই বঞ্চিত।
আরও পড়ুন-আবাসযোজনা নিয়ে পদ্মের রাজনীতি, পাল্টা জবাব সভানেত্রীর
কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উন্নয়নমূলক কাজ এই জেলায় হয়নি। ১৯-এর লোকসভা ভোটে মানুষ এই জেলা থেকে সাংসদ নির্বাচন করে পাঠিয়েছেন বিজেপির জন বারলাকে, এখন তো তিনি আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। কিন্তু কী করেছেন তিনি আলিপুরদুয়ারের জন্য? ভোটের আগে গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এখানে এইমস করবেন, কয়েকটি চা বাগান অধিগ্রহণ করবেন, বেশ কিছু নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করবেন, কোথায় সেসব প্রতিশ্রুতি? সাংসদ থেকে মন্ত্রী হয়েও একটি সিসি রোডও নির্মাণ করতে পারেননি। সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, কামাখ্যা-পুরী, ত্রিপুরাসুন্দরী-সহ বেশ কিছু ট্রেনের স্টপেজ আলিপুরদুয়ারে নেই। বন্দে ভারত ট্রেনটি চেষ্টা করলে আলিপুরদুয়ার থেকে চালানো যেতেই পারত। আমরা দাবি করেছিলাম বাংলাদেশ হয়ে ট্রেন চলুক, তাও মানা হয়নি। আলিপুরদুয়ারের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার ফলে এখানকার মানুষ যে ক্ষোভে ফুঁসছে তা বন্দে ভারত উদ্বোধনের দিন প্রকাশ্যেই দেখা গিয়েছে।