প্রতিবেদন : আজ তৃণমূল কংগ্রেসের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিবস। রাজ্যব্যাপী দিনভর আজ নানা কর্মসূচি। শনিবার রাত থেকেই বর্ষবরণের পাশাপাশি দলের জন্মদিন পালন শুরু হয়। কোথাও রক্তদান শিবির, কোথাও সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কোথাও হাতপাতালে রোগীদের ফল বিলি। এরকম নানা কর্মসূচিতে মেতে থাকছেন দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। ২ তারিখ নজরুল মঞ্চ থেকে আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বছরের পাশাপাশি দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলীয় কর্মী-সমর্থক-নেতৃত্ব এবং রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
আজ সকালে তপসিয়ার পুরনো তৃণমূল ভবনে হবে ভিত পুজো। নতুন তৃণমূল ভবন তৈরি হবে সেখানে। তা নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে রয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। পাহাড় থেকে সাগর, জঙ্গলমহল থেকে গৌড়বঙ্গ— দিনভর বাংলার প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি ব্লকে নানা কর্মসূচি। শুধু বাংলা কেন, একইসঙ্গে বাংলার বাইরে গোয়া, অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, দিল্লি-সহ অন্যান্য রাজ্যেও পালিত হবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়। এর আগে ১৯৯৭ সাল থেকে প্রায় এক বছর ধরে তৈরি হয়েছিল ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত। তৎকালীন যুব-কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএম তথা বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই চাইছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস সে-পথে হাঁটেনি। শেষ পর্যন্ত এ-লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলে তার পরিণতিতেই জন্ম হয় তৃণমূল কংগ্রেসের। প্রতিবছরের মতো এবারও সাতসকালে প্রভাতফেরি ছোটদের নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীত, নাটক, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, রক্তদান— এসবের মধ্য দিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা স্মরণ করছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ লড়াই এবং সংগ্রামের দিনগুলিকে।
আরও পড়ুন-শতাব্দীর পরিষেবাই বেশি ভাড়াতে
আগামিকাল ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চের বৈঠকে থাকবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, থাকবেন অন্যান্য নেতৃত্ব ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকের চতুর্মুখী অভিমুখ রয়েছে— ১. বাংলার উন্নয়ন ২. কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আরও জোরদার আন্দোলন ৩. প্রতিহিংসা, চক্রান্ত ও কুৎসার রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ৪. শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে উন্নততর তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করা। নতুন ভবিষ্যতের লক্ষ্যে তৃণমূল।