নয়াদিল্লি : তহবিল নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা? পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকের চাঞ্চল্যকর মন্তব্যের পর এই প্রশ্ন উঠছে। পিএমও-র ওই অফিসার দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, পিএম কেয়ার্স ফান্ড আদৌ ভারত সরকারের নয়। তাই পিএম কেয়ার্স ফান্ডে জমা পড়া অর্থ কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়ায় পড়ে না। এই যুক্তি দেখিয়ে মোদি সরকারের আধিকারিকের দাবি, এই ফান্ডকে তথ্য জানার অধিকার আইনের অধীনে নিয়ে আসা যাবে না। আইন অনুযায়ী এই ফান্ড চ্যারিটেবল ট্রাস্ট বলে স্বীকৃত। বিরোধীরা বলছেন, তহবিলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তা এড়িয়ে যেতে নতুন ব্যাখ্যা দিচ্ছে কেন্দ্র। সংবিধানের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে সরকারি তহবিল ঘোষণার আর্জি জানিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। সম্যক গাঙ্গোয়াল নামে এক ব্যক্তি তাঁর আবেদনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা মোকাবিলায় অর্থ সংগ্রহের জন্য একটি তহবিল গঠন করেছেন। ওই তহবিলের অছি পরিষদে আছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। আছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। অথচ সেই ফান্ডের উপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই এই ফান্ডকে অবিলম্বে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হোক। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি প্রদীপকুমার শ্রীবাস্তব এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টকে জানান, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের অর্থ ভারত সরকারের নয়। তাই এই ফান্ড তথ্য জানার অধিকার আইনের ২ (এইচ) ধারা বা ৮ ধারায় কোনও আইনেই পড়ে না। এই তহবিল সম্পর্কিত কোনও তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে প্রকাশের অনুমতি নেই।
আরও পড়ুন: পেগাসাস চাপে মোদি সরকার