প্রতিবেদন : চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় রাজনৈতিক মহলে৷ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে মোদি সরকার কীভাবে তোলাবাজির ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল৷ বাংলাতেও ‘লোডশেডিং’–এ জেতা বিরোধী দলনেতা থেকে বিজেপির চুনোপুঁটি নেতারাও কথায় কথায় ইডি, সিবিআই, আইটি, এনআইএ দিয়ে রাজ্য সরকারকে উত্ত্যক্ত করার হুমকি দেন৷ এমন হুমকি যে বিজেপির বৃহত্তর চক্রান্তেরই চিত্রনাট্য তা হায়দরাবাদের যশোদা হাসপাতাল গ্রুপের ক্রিয়াকলাপেই স্পষ্ট৷
আরও পড়ুন-শীতে ঘন কুয়াশা, বিপর্যস্ত উত্তর ভারত
বিজেপি কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা কর্পোরেট দানছত্রের মাধ্যমে লিখে নিচ্ছে সেই কৌশলও বেআব্রু হয়ে গেল৷ ২০২১–২২ সালে নানা ধরনের দান বাবদ বিজেপির তহবিলে এসেছিল ৬১৬.৫২ কোটি টাকার বেশি৷ নির্বাচনী ট্রাস্ট ও নির্বাচনী বন্ডের বাইরেও দানবাবদ এই বিপুল টাকা পায় মোদির দল৷ বিজেপির তহবিলের ধারে পাশে নেই দেশে আর কোনও দল৷ সম্প্রতি সামনে এসেছে এক বিস্ফোরক তথ্য৷ ওই আর্থিক বছরেই (২০২১–২২) হায়দরাবাদের যশোদা হাসপাতাল গ্রুপ বিজেপির তহবিলে দান করেছিল ১০ কোটি টাকা৷ অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে, এই দানছত্রের ঠিক আগেই ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকা আয়কর দফতর বড় অভিযান চালায় যশোদা গ্রুপে৷ যশোদা হেলথকেয়ার সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের একাধিক সম্পত্তিতে আয়কর তল্লাশি চলে৷ তারপরই বেনজির কাণ্ড৷ যে গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের কোটি কোটি দানের টাকাতেই ভরে উঠল বিজেপির তহবিল৷