সাও পাওলো, ৩ জানুয়ারি : ফুটবলের সম্রাট চিরকালের জন্য প্রিয় স্যান্টোস ছাড়লেন ভক্তদের কাঁদিয়ে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকেই ভিলা বেলমিরো ছেড়ে পেলের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে স্যান্টোসের রাস্তায় অন্তিমযাত্রা শুরু হয়। ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা জাতীয় নায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পেলের স্ত্রী, পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। গাড়িতে করে ফুটবল সম্রাটের নিথর দেহ নিয়ে কফিন এগিয়ে যায় সমাধিক্ষেত্রের উদ্দেশে। পেলের কফিনে জড়ানো থাকে বিখ্যাত ব্রাজিল ফ্ল্যাগ। রাস্তার দু’পাশে স্যান্টোসের বিশাল পতাকা হাতে ভক্তরা।
আরও পড়ুন-প্রয়াত ময়দানের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার শ্যামল ঘোষ
পেলের কফিন নিয়ে এগিয়ে চলা ফায়ার ইঞ্জিন ধীরে ধীরে অতিক্রম করে কিংবদন্তির একশো বছর বয়সি মা ডোনা আরান্তেসের নিবাস। যেখানে তিনি শয্যাশায়ী। সম্রাটকে শেষ বিদায় জানান ভক্তরা। কিংবদন্তির কফিন নিয়ে শোভাযাত্রা যত এগিয়ে চলল, অশ্রুসজল চোখে আবেগ, ভালবাসার যেন বিস্ফোরণ ঘটল। কেউ পেলের নামে গান ধরলেন, কেউ জয়ধ্বনি দিলেন। চোখের জল মুছতে মুছতে কারও গগনভেদী চিৎকার, ‘শান্তিতে ঘুমোও সম্রাট, আমরা তোমাকে মিস করব’।
আরও পড়ুন-শহিদ প্রণামে জনতার ঢল নন্দীগ্রামে
শুধু স্যান্টোসের সমস্ত রাস্তা জুড়েই নয়, ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরের জনবহুল এলাকায় বড় পর্দায় পেলের শেষযাত্রা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্যান্টোস তো বটেই, কার্যত ব্রাজিল এদিন থমকে দাঁড়িয়েছিল তাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য। শুধু স্যান্টোস সমর্থকরাই নন, সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি প্রায় সকলের পরনেই ছিল ‘পেলে ১০ নম্বর’ লেখা টি-শার্ট। রাস্তার দু’পাশে বড় বড় বাড়ির উপর থেকেও শ্রদ্ধা জানাতে ব্যস্ত ছিলেন ভক্তরা। স্যান্টোসের প্রায় সমস্ত রাস্তা ঘুরে সম্রাটকে সমাধিস্থ করা হল ১৪ তলা লম্বা সমাধিক্ষেত্র দ্য মেমোরিয়াল নেক্রোপোল একুমেনিকায়। বিশ্বের সব থেকে লম্বা উল্লম্ব কবরস্থান এটি।
আরও পড়ুন-কেশপুরে তৃণমূল নেত্রীর উপর সিপিএম হার্মাদদের পৈশাচিক হামলার প্রতিবাদ সভা
পেলের শেষ বিদায়পর্বে সোমবার স্যান্টোস স্টেডিয়ামে ক্লাবের প্রাক্তন এবং অনুরাগীদের সঙ্গে ছবি তুলে সমালোচিত হন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো। তবে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় হতাশ।