প্রতিবেদন : ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kawach- TMC) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে টগবগ করে ফুটছে সাগর থেকে পাহাড়, গোটা বাংলা। অভূতপূর্ব উদ্দীপনা তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের সর্বস্তরে। কলকাতায় তো বটেই, বুধবার জেলায় জেলায় এই উপলক্ষে তৃণমূলের সাংবাদিক সম্মেলনে দেখা গেল সেই উদ্দীপনারই ঢেউ। দক্ষিণ কলকাতা থেকে শুরু করে দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা, হাওড়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদা, জলপাইগুড়ি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিক সম্মেলনে জনকল্যাণে দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kawach- TMC) কর্মসূচির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করলেন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা। জানিয়ে দিলেন নেত্রীর নির্দেশে এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য, জনসংযোগকে নিবিড় থেকে নিবিড়তর করা। কেমন করে? ২ জানুয়ারি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিত পথে ১১ জানুয়ারি থেকে টানা ৬০ দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচি। রাজ্যের ২ কোটি পরিবারের সাড়ে ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে দিদির দূতেরা। এরজন্য তৈরি করা হয়েছে মোবাইল অ্যাপ ‘দিদির দূত’। তৈরি করা হয়েছে ৩২০ পদাধিকারীর একটি বিশেষ টিমও। ৩৩৪৩টি অঞ্চলে ১৫টি বাছাই করা প্রকল্পকে সামনে রেখে চলবে এই কর্মসূচি। এর আওতায় আসছে ১২৫টি শহরাঞ্চলও। ২০১১ তে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কী কী প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে তা ঘরে ঘরে গিয়ে ব্যাখ্যা করবেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা এবং দলের প্রতিনিধিরা। এবং সেইসব প্রকল্পের সুফল প্রত্যেকের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছেছে কি না, কতটা পৌঁছেছে, না পৌঁছলে কেন পৌঁছয়নি তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। মানুষের সঙ্গে সহানুভূতির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা-সমস্যার কথা জেনে এবং তথ্য সংগ্রহ করে তা জানাবেন শীর্ষ নেতৃত্বকে। সেই অনুযায়ী নেওয়া হবে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ। দেখতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর জনকল্যাণ প্রকল্পের সুযোগ থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হন।
আরও পড়ুন-আবাস যোজনায় ত্রিস্তর নজরদারি