প্রতিবেদন : বিপাকে ববিতা, ৪৩ মাসের বেতন ফিক্সড ডিপোজিট রাখার নির্দেশ দিল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এবার প্রস্তুত রাখতে হবে তাঁর বেতনের ১৫ লক্ষ টাকা। নিয়োগ পরীক্ষায় ববিতা সরকারের নম্বর নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর থেকেই মনে করা হচ্ছিল এবার হয়তো তাঁকে বেতনের পুরো টাকাই ফেরত দিতে হতে পারে। আর ঠিক সেই আশঙ্কায় সত্যি করে এবার ১৫ লক্ষ টাকা এফডি করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-সাইবার অপরাধ নির্মূল করতে বিশেষ কৌশল গোয়েন্দাদের, জামতাড়া অভিযান কলকাতা পুলিশের
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় লড়াইয়ের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন মেখলিগঞ্জের ববিতা সরকার। প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরিটি পেয়েছেন ববিতা সরকার। চার বছর অঙ্কিতার বেতনের টাকাও আদালতের নির্দেশে চলে যায় ববিতার অ্যাকাউন্টে। সেই ববিতার চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ, ববিতা সরকার নিজেই স্নাতক স্তরে নম্বরের শতকরা হার বাড়িয়ে এসএসসিকে দেখিয়েছেন আর এতেই তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর বেড়েছে। অভিযোগ সত্যি হলে পিছিয়ে পড়বেন ববিতা। সেই জায়গায় উঠে আসে চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়ের নাম। তাহলে কি এবার অঙ্কিতার মতো ববিতাকেও সমস্ত টাকা ফেরত দিতে হবে, এ প্রশ্ন নিয়ে জল্পনা চলছিল।
আরও পড়ুন-পাঁচ হাজার সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেলিমেডিসিন
এবার বড় খবর সামনে এল। পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর থেকে পাওয়া টাকা ববিতাকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে ববিতাকে একটি পৃথক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করতে হবে। সেই অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে ওই টাকা। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে এই কাজ সেরে ফেলার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন চাকরি করার পর ববিতা যে বেতন পেয়েছেন, তাও কি এবার ফেরত দিতে হবে তাঁকে?