সংবাদদাতা, কাঁথি : গ্রামবাংলার পিঠেপুলির ঐতিহ্য প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। রসে ভেজা, ক্ষীরে মেশা হরেক স্বাদের পিঠের আমেজ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের রোজগারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য পিঠেপুলি উৎসবের আয়োজন করেছে কাঁথি পুরসভা। শীত জাঁকিয়ে বসেছে এ রাজ্যে।
আরও পড়ুন-বামেদের মিথ্যাচারের জবাব ২৪ ঘণ্টায়
শীতের আবহে পিঠের স্বাদ আরও জমাটি হয়ে উঠেছে এই পিঠে-পুলি উৎসবে। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনেই মেলায় ভিড় উপচে পড়ে। বিক্রি ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন মেলা পুরসভার পক্ষে প্রথম নয়। গত কয়েক বছর এই মেলার আয়োজন হচ্ছে কাঁথির রাও রিক্রিয়েশন ক্লাব মাঠে। প্রায় ৩ হাজার মহিলা তাঁদের তৈরি পিঠে ও পায়েসের পশরা নিয়ে এসেছেন মেলায়। চিরাচরিত পাটিসাপটা, ক্ষীরপুলি, গোকুলপিঠের পাশাপাশি রয়েছে অমৃতপিঠে, বাহাপিঠে, চকোলেট পিঠে।
আরও পড়ুন-গ্যাসের পাইপলাইন হলদিয়ার জমিতে
বৃহস্পতিবার ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন কাঁথির পুরপ্রধান সুবল মান্না। ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর, কাউন্সিলর আলেম আলি খান, তনুশ্রী চক্রবর্তী, দেবাশিস পাহাড়ি, অতনু গিরি প্রমুখ। পুরপ্রধান বলেন, ‘পিঠে ছাড়া শীতকাল যেন জমেই না। তাই শীতের মরসুমে হারিয়ে যেতে বসা পিঠেপুলির সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে এই মেলার জুড়ি মেলা ভার।’ চারদিনের মেলায় বাঙালির রসনা তৃপ্ত হবে বলেই আশা পুরসভার। কাউন্সিলর আলেম আলি খান বলেন, ‘স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উৎসাহ দিতেই মেলার আয়োজন।’