প্রতিবেদন : বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতিগুলির যৌথ মঞ্চ জি-২০। কলকাতায় (G-20 Summit in Kolkata) বসেছে তার আর্থিক বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্কিং গ্রুপের তিনদিনের বৈঠক। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে যার সূচনা হল। শুরু থেকেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা উন্নীতকরণ ও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারী ভারী অর্থনৈতিক তত্ত্ব নিয়ে একের পর এক বৈঠক চলেছে দেশ-বিদেশের নামীদামি অর্থনীতিবিদদের উপস্থিতিতে। তবে শুধু নিরস অর্থনীতির আলোচনা নয়, নিউটাউনের বিশ্ববাংলা অডিটোরিয়ামে জি-২০র প্রথম দিনের বৈঠকে আক্ষরিক অর্থে রস সঞ্চার করেছে বাংলার নলেন গুড় থেকে শুরু করে জয়নগরের মোয়া, সুন্দরবনের চাক ভাঙা মধু। শুধু খাবারেই সীমাবদ্ধ নয়, কনভেনশন সেন্টারের প্রতিটি তলায় রকমারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে, দারুণ এক প্রদর্শনী। যার মধ্যে ডোকরা থেকে কাঁথা স্টিচ, ছৌনাচের মুখোশ, বাঁকুড়ার ঘোড়া সব কিছুরই দেখা মিলছে।
আরও পড়ুন-বেনজির দ্বন্দ্ব! বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট তামিলনাড়ু রাজ্যপালের
জি-২০ (G-20 Summit in Kolkata) বৈঠকে যোগ দিয়েছেন ১২০টি দেশের প্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনে বাংলার শিল্প, সংস্কৃতি, কৃষ্টির পাশাপাশি হরেক মনমাতানো স্বাদের বৈচিত্রকে তুলে ধরতে এই আয়োজন। বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডের আওতায় রাজ্যের অভিনব পণ্য সম্ভার বিপণনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই উদ্যোগেরই অঙ্গ এই প্রদর্শনী। যেখানে শিল্পীদের কাছ থেকে সরাসরি নিজের পছন্দের তাঁতের কাপড় বুনিয়ে নেওয়ার বা পছন্দের পোশাকে পছন্দমতো নকশা ফুটিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অতিথিরা। প্রথমদিনই বিপুল সাড়া মিলেছে এই প্রদর্শনীতে। সব মিলিয়ে এই আয়োজনে খুশি শিল্পী থেকে ক্রেতা সকলেই।