প্রতিবেদন : ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-কে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় দ্বিতীয় দিনেও দেখা গেল তুমুল উৎসাহ। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ সারেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। বুধবার জনসংযোগের পর মঙ্গলদাঁড়ির সুদর্শন মান্নার বাড়িতে রাত কাটিয়ে এদিন সকাল থেকে ফের শুরু হয় জনসংযোগ। শুরুতে স্থানীয় হনুমান মন্দিরে পুজো দেন কুণাল। তারপর স্থানীয় পার্টি অফিসে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে পতাকা উত্তোলন ও স্বামীজির ছবিতে মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তারপরই শুরু হয় স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক।
আরও পড়ুন-মতুয়াদের নিয়ে বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতি
বৈঠক সেরে দলীয় নেতা, কর্মীদের নিয়ে জনসংযোগ সারেন প্রাক্তন সাংসদ। বাড়ি বাড়ি ঘুরে শোনেন মানুষের সমস্যার কথা। এরই মধ্যে একদল মানুষ তাঁদের এলাকার খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ তোলেন। তাঁদের অনুরোধে সেখানে হাজির হলে দেখা যায়, কিছুদিন আগেই সেই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। মোরামের রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে ঢালাইয়ের কাজ এখনও শুরু হয়নি। কুণালকে ও তৃণমূল নেতাদের সামনে পেয়ে মহিলারাও এগিয়ে আসেন, তাঁদের সমস্যার কথা বলেন। সবমিলিয়ে তাঁরা খুশি। এদিন দলীয় দফতরে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে কুণাল ঘোষ বলেন, শুধু তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গেলেই হবে না, অন্য দলের কর্মী, সমর্থকদের বাড়িতেও যেতে হবে।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নোয়াম চমস্কি থেকে অমর্ত্য-কন্যা
‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে তাঁদের বোঝাতে হবে। বুঝিয়ে তাঁদেরও এই সুরক্ষা কবচে শামিল করতে হবে। বলতে হবে এই সুরক্ষা কবচে থাকলেই ভাল থাকা সম্ভব। সবাইকে ভাল রাখতেই এই সুরক্ষা কবচ এনেছে তৃণমূল। স্থানীয় একটি স্কুলেও যান কুণাল। সেখানে ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। ছাত্রীরা বলেন, সবুজসাথীর সাইকেল পেয়েছি, কন্যাশ্রী পেয়েছি, আমরা খুব খুশি, দিদিও খুব ভাল। সব মিলিয়ে দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে এদিনও প্রবল উৎসাহ দেখা গেল পাঁশকুড়ায়।