প্রতিবেদন : বিজেপির দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলা আবাস যোজনায় একাধিক বিজেপির নেতা-কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-জেলা সভাপতি-গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান-সদস্যদের টাকা আত্মসাতের ঘটনা নাম-সহ প্রকাশ্যে আনল দল। কয়েকটা নাম এই মুহূর্তে সামনে এলেও বাংলা আবাস যোজনায় টাকা আত্মসাতের শিকড় যে আরও অনেক গভীরে তা দুর্নীতি নিয়ে লম্বা-চওড়া বক্তৃতা-করা বঙ্গ-বিজেপির নেতাদের মুখে চুনকালি মেখে ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে৷ তালিকায় দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাবা বিধুভূষণ প্রামাণিকের নাম যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামির স্ত্রী প্রতিমা প্রামাণিকের নাম।
আরও পড়ুন-শীতের ইডেনে মানুষের ঢল
এছাড়া ঝাড়গ্রামে বিজেপির জেলা সভাপতি তুফান মাহাত ও তার ভাইয়ের নাম রয়েছে এই তালিকায়। এখানেই শেষ নয়। উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়া ২নং ব্লকের গুমা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য লক্ষ্মী মজুমদারের নাম রয়েছে উপভোক্তাদের তালিকায়। বাঁকুড়া বিধানসভার অন্তর্গত বাঁকুড়া ১নং ব্লকের জাগদাল্লার ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নারায়ণ শিটের বাবা ভাস্করচন্দ্র শিট এবং পুরুলিয়ার পারা বিধানসভার রঘুনাথপুর ২নং ব্লকের বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রবীন ঘোষ গোপের স্ত্রী লেহালি গোপের নামও বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তাদের তালিকায় রয়েছে। এ তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এই ছয় জনের আত্মীয় পরিজনের নাম সামনে এলেও এরকম আরও অসংখ্য বিজেপি নেতা-বিধায়ক-জেলা সভাপতির আত্মীয় পরিজনের নাম রয়েছে। কোন মুখে বিজেপির চার আনার নেতারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে! প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের বৈঠকে বোমাবাজি, ধৃত ১২
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বাংলা আবাস যোজনা নিয়েও বাংলার সরকারকে বদনাম করতে নানাভাবে ফাঁদ পাতছে বিজেপি। কিন্তু নিজেরা যে সীমাহীন দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে তার উত্তরে কী বলবে বঙ্গ-বিজেপি?