সংবাদদাতা, বারাসত : প্রথম পরিচয় লুকিয়ে উসকানি। তারপর বিজেপি নেতার পরিচয় প্রকাশ্যে আসতেই গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগিয়ে গন্ডগোল পাকাল বিজেপি। শনিবার দিনভর রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করল তারা। শনিবার সকালে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বারাসত ব্লক-১ ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের শাড়িপোনা গ্রামে রাধামাধব মন্দিরে যান। সেখানে পুজো দিয়ে তিনি দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি শুরু করেন। মন্দির চত্বরে অনেকে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা মন্ত্রীকে জানাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন-বাংলার প্রতি বঞ্চনা-বৈষম্যের প্রতিবাদে মুখর নবগ্রাম
সেই সময় হঠাৎই নীলগঞ্জ-খিলকাপুরের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সাগর বিশ্বাস সাঙ্গপাঙ্গোদের নিয়ে এসে কর্মসূচি ভন্ডুল করার চেষ্টা করেন। তৃণমূলকর্মীদের উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। যাঁরা সমস্যার কথা মন্ত্রীকে জানাতে এসেছিলেন তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর খাদ্যমন্ত্রী মন্দিরের দিকে এগিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূলকর্মীরা বিজেপি নেতাকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি দুর্ব্যবহার করেন। তখনই এক ব্যক্তি এসে ওই বিজেপি নেতাকে চড় মারেন। শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। সামাল দিতে এগিয়ে আসেন তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুন-দুর্নীতি নিয়ে পুলিশি জেরায় রামচন্দ্র
খাদ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, বিজেপি নেতার সঙ্গে ওই ব্যক্তির অনেকদিন ধরেই ব্যক্তিগত সমস্যা চলছিল। এরপরেই আসরে নেমে পড়ে বিজেপি শিবির। ওই ব্যক্তিগত গন্ডগোলকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে তৃণমূলের ঘোষিত কর্মসূচি ভন্ডুল করতে বারাকপুর-বারাসত রোড অবরোধ শুরু করে। ফলে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা।