৮ থেকে ১০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে সুইগি (Swiggy)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, ফান্ডে ঘাটতির জেরেই এই বিপুল ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে সংস্থাটি। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো আতঙ্কিত সুইগির কর্মীরা। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ৬ হাজার কর্মী কাজ করেন সুইগিতে। এই ছাঁটাইয়ের তথ্য যদি বাস্তবায়িত হয় সেক্ষেত্রে কাজ হারাতে পারেন অন্তত ৬০০কর্মী।
সূত্রের খবর, গত ৬ মাস ধরেই নাকি ধীরে ধীরে বেড়েছে কাজের চাপ। গত অক্টোবরে কর্মীদের পারফরম্যান্স রিভিউ করা শুরু করেছিল সংস্থাটি (Swiggy)। সম্প্রতি সেই রিভিউ শেষ হয়েছিল। এরপরই এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত বলেই শোনা যাচ্ছে। সূত্রের দাবি, সুইগি নাকি সমস্ত কর্মীদের রেটিং করেছে ০ থেকে ৫-এর মধ্যে। যাঁরা ২ বা তার নিচে রেটিং পেয়েছেন, সংস্থার রক্তচক্ষুর শিকার হতে চলেছেন তাঁরাই। তবে এখনও এই বিষয়ে সুইগির তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ক্রেতাসুরক্ষা দফতরের কড়া পদক্ষেপ, ফ্ল্যাট পেলেই সঙ্গে সিসি
২০১৪ সালে নিজেদের সফর শুরু করেছিল সুইগি। কয়েক বছরেই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সংস্থাটি। প্রায় ৫০০টি জায়গায় ১ লক্ষ ৬০ হাজারটি রেস্তরাঁর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কাজ করে তারা। কিন্তু করোনাকালে বড়সড় ছাঁটাইয়ের পথে হেটেছিল সুইগি। এবার ফের সেই পথেই হাঁটতে চলেছে অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা। অবশ্য গতবছর এই ধরনের ছাঁটাই ব্যাপক ভাবে চোখে পড়েছিল দেশের একাধিক সংস্থায়। তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এই প্রবণতা চোখে পড়েছিল। সব মিলিয়ে চাকরি হারিয়েছিলেন ১৭ হাজার কর্মী। এর মধ্যে ছিল জোম্যাটোর মতো অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থাও।