প্রতিবেদন : ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে (Tripura Assembly Election) একলাই লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে বেরিয়ে একথা বলেন, ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সুস্মিতা দেব ও ত্রিপুরায় দলের সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস। তৃণমূল কংগ্রেসের মূল লক্ষ্যই হল বিজেপিকে হারানো। এদিনের বৈঠকে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে দলের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভার জন্য ১২০ জনের নাম জমা পড়েছে প্রার্থী হওয়ার জন্য। প্রতিটি বিধানসভা ধরে এবং জমা-পড়া নাম নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে দল। দু- চারদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রার্থী-তালিকা প্রকাশ করা হবে। চলতি মাসের শেষেই ত্রিপুরায় প্রচারে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ত্রিপুরায় প্রচার সভা করবেন।
এদিন বিকেল সাড়ে চারটেয় ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে আসেন ত্রিপুরার দায়িত্বে থাকা নেতৃত্ব। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচনের (Tripura Assembly Election) সবদিক নিয়ে আলোচনা হয়। ত্রিপুরায় বাম-কংগ্রেসের আঁতাত, তিপ্রামোথার অবস্থান, গত পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের হার বৃদ্ধি, ত্রিপুরায় ধীরে ধীরে তৃণমূল কংগ্রেসের জমি শক্তি হওয়া— সবই আলোচনায় উঠে আসে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মনোযোগ দিয়ে সবটা শুনেছেন। কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন। বৈঠক শেষে বেরিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা চাই বিজেপিকে হারাতে। আমরা মনে করি তৃণমূল কংগ্রেস একাই একশো। জোটের ফল কী হয়েছে আগেই আপনারা দেখেছেন। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ মিটিং করতে ডেকেছিলেন৷ দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে। ভোটে রণকৌশল নিয়ে কথা হয়েছে। ত্রিপুরায় ৬০ আসনের জন্য ১২০ জনের নামের তালিকা পেয়েছি। আসন ধরে ধরে আলোচনা হয়েছে। রাজীবের সংযোজন, তৃণমূল কংগ্রেস বরাবর একলা চলায় বিশ্বাসী। আমাদের সম্পদ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত আমাদের স্ট্যান্ড— একলা চলো। গত পুরভোটে ভাল ফল হয়েছিল আমাদের৷
আরও পড়ুন-প্রকাশ্যে অজিত মাইতির সঙ্গে ছবি
যেসব জায়গায় উপনির্বাচন হয়েছিল, সেখানে বাম নয়তো কংগ্রেসের গড় ছিল। এই ভোটে আলাদা চিত্র দেখতে পাবেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে এখানে নতুন ভাবে দেখতে পাবেন। সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, বিজেপির কোনও সাপোর্ট ছিল না ২০১৮ সালে ত্রিপুরাতে। বামেদের ভোট চলে যায় বিজেপিতে। এখন বাম-কংগ্রেস আঁতাত হয়েছে। যারা বিজেপিকে চায় না, তারা বামেদের দিকেও যাবে না। তিপ্রামোথা যেখানে ভাল ফল করেছে, সেখানে বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। বোঝাই যাচ্ছে ত্রিপুরাবাসী এখন পরিবর্তন চাইছে। পীযূষকান্তি বিশ্বাস বলেন, ২০২১-এর বাংলায় ভোটে বাম-কংগ্রেস জানত তারা শূন্য পাবে৷ কিন্তু ওরা ভোট কেটে বিজেপিকে সাহায্য করতে চাইছিল। এখন ত্রিপুরাতেও ওদের আঁতাত হয়েছে। ত্রিপুরার মানুষ এটা মেনে নেবে না।