রাজভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা (Bengali) শেখা শুরু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day) বিকেলে বাংলায় হাতেখড়ি হল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। রাজ্যপালকে ‘বর্ণপরিচয়’ উপহার দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose), বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Tathagata Ray)-সহ বিশিষ্টরা।
আরও পড়ুন-৭৪তম সাধারণতন্ত্র দিবস, শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ রাজভবনের লনের মঞ্চের লালপাড় হলুদ শাড়ি পরা খুদে ‘গুরু’ রাজ্যপালকে বাংলায় হাতেখড়ি দেওয়ায়। আনন্দ বোসের হাতে ধরে স্লেটে অ-আ লেখা শেখায় খুদে ছাত্রী। রীতি মেনে স্বরবর্ণ উচ্চারণ করেন রাজ্যপাল। গুরুদক্ষিণা হাতে তুলে দেন ছোট বালিকার হাতে। এছাড়াও বেতনের একাংশ কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার হিসেবে দেবেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন-সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ: রেড রোডে উপস্থিত রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী
এরপর বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্যপাল বলেন, তিনি বাংলা শিখতে চান। বলেন, “আমি বাংলাকে ভালোবাসি। বাংলার মানুষকে ভালোবাসি। সুভাষচন্দ্র বোস আমার দেশ নেতা”। রাজ্যপাল বক্তৃতা শেষ করেন, “জয় বাংলা, জয় হিন্দ” বলে।
বক্তৃতা দিতে উঠে রাজ্যপালের মাতৃভাষা মালায়ালামে তাঁকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বাংলা বলতে উৎসাহী রাজ্যপাল। আমাদের কাছে এটা গর্বের বিষয়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় ভাষা শেখা অত্যন্ত জরুরি। তিনি নিজেও মালায়ালাম স্লেটে লিখেছেন। একটি ছাত্রী রাজ্যপালকে হাতেখড়ি দেওয়ানোয় অত্যন্ত খুশি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ছোটদের শিক্ষার বিষয় গুরুত্ব দেওয়াটা তাঁদের কর্তব্য।
আরও পড়ুন-উষ্ণতায় ভরা সরস্বতী পুজো
কর্মজীবনের শুরুতে দীর্ঘদিন কলকাতায় কাটিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। কবিগুরুর কবিতাও মুখস্থ আওড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২৩ জানুয়ারি শ্যামবাজারে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদানের পরে নিজের পূর্ব কর্মস্থল এসবিআই-এর শাখাতেও যান রাজ্যপাল। কিছুক্ষণ সময় কাটান নিজের প্রাক্তন কর্মস্থলে। রাজ্যে আসার পর থেকেই বাংলা ভাষা শিক্ষার বিষয় আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। সরস্বতী পুজোর দিন থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সেই প্রক্রিয়া শুরু হল।