লখনউ, ২৮ জানুয়ারি : হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে সোমবার লখনউয়ে বৃষ্টি হবে। হার্দিক পাণ্ডিয়ারা এতে স্বস্তি পাচ্ছেন। যেহেতু রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় শহরে বৃষ্টি তো হওয়ার কথাই নেই, তার উপর তাপমাত্রাও থাকবে ১৪-১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। আর তাঁরা দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচটা খেলে নেবেন এই রবিবারই।
এমনিতে একানা স্টেডিয়ামের উইকেটে সিমাররা সুবিধা পান। তার উপর ঠান্ডায় অর্শদীপ, উমরানরা কিউইদের আরও মুশকিলে ফেলতে পারেন। তার থেকেও বড় কথা হল, এই উইকেট রাঁচির মতো নিউজিল্যান্ড স্পিনারদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে না। নিজেদের হাতে কুলদীপ, চাহাল, ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো স্পিনার থাকলেও ভারতকে এখন স্পিন বাঁচিয়ে চলতে হচ্ছে!
আরও পড়ুন-রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয়কে ভিসা দেবে আমেরিকা
রাঁচিতে ২১ রানে ম্যাচ হেরে ভারত এখন কঠিন জায়গায়। এখানে জিতলে সিরিজে ভেসে থাকা যাবে। নাহলে নিউজিল্যান্ডের হাতে সিরিজ ছেড়ে দিতে হবে। যাঁরা একদিনের সিরিজ ৩-০-তে হেরেছে। হার্দিক রাঁচি ম্যাচের পর বলেছেন, তাঁরা ওখানে উইকেট দেখে অবাক হয়েছেন। ভাবেননি বল এতটা টার্ন করবে। তবে এটাও মেনে নিয়েছেন যে, তাঁরা নিউজিল্যান্ডকে বাড়তি রান দিয়েছেন। নিউজিল্যান্ড ১৫৫/৯ থেকে ১৭৬ পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। এটাই পরে কাল হল।
প্রথম ম্যাচে ভারতের টপ অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। ঈশান, শুভমন রান পাননি। ওয়াশিংটন দুটি উইকেট নেওয়ার পর ৫০ রান করেছেন। তবে সূর্য ৪৭ রান না করলে ভারতের হারের ব্যবধান আরও বাড়ত। হার্দিকও ২১ রান করেছেন। এই দু’জন আউট হয়ে যাওয়ার পর ভারতের জয়ের আশা দ্রুত বিলীন হয়ে যায়। হার্দিকের দলের জন্য মুশকিল হয়েছে এটাই যে, তেমন ভাল পার্টনারশিপ হয়নি। যেটা কিউইদের ক্ষেত্রে হয়েছে। হার্দিক পরে বলেছেন, তাঁর আর সূর্যর পার্টনারশিপের সময় মনে হয়েছিল ম্যাচটা তাঁরাই জিতবেন। কিন্তু নিউজিল্যান্ড গোটা পঁচিশ রান বেশি করে ফেলেছিল! এর আগে ডেভন কনওয়ে ও ডারিল মিচেলের জোড়া হাফ সেঞ্চুরি নিউজিল্যান্ডকে বড় রানে পৌঁছে দিয়েছিল। এরপর স্যান্টনার ও ব্রেসওয়েল দুটি করে উইকেট নিয়ে ভারতকে হারের দিকে ঠেলে দেন।
আরও পড়ুন-আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের নমুনা, হাসপাতাল আছে রোগী নেই
৫০ হাজার লোক ধরে লখনউয়ের এই স্টেডিয়ামে। এখানে মোট ৫টি টি-২০ ম্যাচ হয়েছে। ভারত দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জিতেছে। পরিসংখ্যান বলছে এই মাঠে ভারতের সাফল্যের হার শতকরা একশো শতাংশ। আজ মাঠে নামার আগে এটাই মনোবল বাড়াবে হার্দিকের দলের। নবাবের শহরে না জিতলে রক্ষে নেই তাঁর দলের।