প্রতিবেদন : মিথ্যাচার প্রমাণিত। বেআব্রু হয়ে গেল বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাংলাকে অসম্মানিত করার অপচেষ্টা। জমি বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিল স্থানীয় ভূমিরাজস্ব দফতর। বোলপুর শান্তিনিকেতন ব্লকের বিএলআরও সঞ্জয় দাশ শনিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর বা কারওর জমি দখল করে রেখেছেন, এমন কোনও তথ্য রাজ্য সরকারের বিভাগীয় দফতরের কাছে নেই। এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য পাঠানো হয়েছে জেলায়।
আরও পড়ুন-নবাবের শহরে আজ ইজ্জতের লড়াই
একই কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসনও। এর থেকেই স্পষ্ট, নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের মতো একজন মানুষকে জমি জবরদখলকারী হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যা আঘাত করেছে বাংলার মানুষের স্বাভিমানে। অমর্ত্য সেনকে অসম্মানিত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে এদিন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারের নোদাখালিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর মন্তব্য, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তা লজ্জাজনক। কিছু মানুষ বাঙালি হলেও দিল্লির ও গুজরাতের তল্পিবাহক। আসলে উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন, তাই ওঁদের এত সমস্যা। এভাবেই কারও নাম না করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য ও বঙ্গ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয়কে ভিসা দেবে আমেরিকা
তাঁর কথায়, অমর্ত্য সেনকে ধমকানো, চমকানোর চেষ্টা করলে ইতিহাস হয়ে যাবে নিজেরাই। বোলপুরের বিধায়ক, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মন্তব্য করেছেন, আচার্য হিসেবে তাঁকেই প্রমাণ করতে হবে অমর্ত্য সেন নোবেল পেয়েছেন কি না। তাঁর লোক এখানে বসে ভারতরত্নকে অপমান করবেন, বাংলার মানুষ তা মোটেই মেনে নেবেন না। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে বোলপুরের সাংসদ অসিত মালের মন্তব্য, উপাচার্যের চেয়ারে বসে অনৈতিক কাজ করা তো বিশ্বভারতীকেই অপমান করা। বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপকের ব্যাখ্যা, যে জমি নিয়ে বিতর্ক বাধানোর চেষ্টা চলছে, সেখানে পৌঁছতে হলে তো অমর্ত্য সেনের জায়গার উপর দিয়েই যেতে হবে। বিশ্বভারতীর আসল উদ্দেশ্য তো এতেই স্পষ্ট।