প্রতিবেদন : বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। পরিবারের সদস্যরা আবেগে ভাসবে না তা হয় না! মেয়ের এই পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত চুঁচুড়ার তিতাস সাধুর বাড়ির লোকজন। তিতাসের বাবা রণদীপ মনে করেন বিদেশের মাটিতে অনেক নামকরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেলে মেয়ের অভিজ্ঞতা আরও বাড়বে। মা ভ্রমর দেবী বলেছেন, ‘‘তিতাস সবে খেলা শুরু করেছে। ভাল করছে। এখনও অনেকটা রাস্তা যাওয়া বাকি আছে।’’ তিতাসের ছোটবেলার কোচ দেবদুলাল রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘‘অন্যদের তুলনায় ওর আত্মিবশ্বাস অনেক বেশি। ও ভাল পারফরম্যান্স করবে আগে থেকেই তা আশা করেছিলাম।’’
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপ জিততে এসেছিলাম, সেটা নিয়েই ফিরছি : শেফালি
চুঁচুড়ার মতো উৎসবে মেতেছিল হাওড়ার হৃষিতা বসুর পরিবারও। একই ভাবে উৎসব ছিল শিলিগুড়ির হাতির মোড়েও। কখনও হাততালি, আবার কখনও উদ্বেগ। শেষে উচ্ছ্বাস আর আবেগ। ভারতের জয়ের পরে উল্লাসে ফেটে পড়েন রিচার পরিবারের সদস্যরা। মা স্বপ্না ঘোষ বলেন, ‘‘ঘরের মেয়েরা বিশ্বকাপ জিতল। আমার মেয়ে সেই দলের সদস্য। কী আনন্দ হচ্ছে, তা বোঝাতে পারব না।’’ বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘মেয়ে টুর্নামেন্টে ভাল খেলেছে। নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার আগ্রহ ছিল।’’ রিচার ছোটবেলার কোচ গোপাল সাহা বলেন, ‘‘রিচার সাফল্য আগামী দিনে শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের মেয়েদের উৎসাহ দেবে।’’ ক্রিকেট কোচ জয়ন্ত ভৌমিক বলেন, ‘‘এ আনন্দ কথায় প্রকাশ করা যাবে না। ভারতীয় ক্রিকেটে উজ্জ্বল নক্ষত্র হবে রিচা।’’
আরও পড়ুন-মুকেশ ফেরায় ঘরের মাঠে চনমনে বাংলা, বাংলা বনাম ঝাড়খণ্ড
রিচার সুভাষপল্লির বাড়িতে সোমবার সকাল থেকেই শুভেচ্ছার বহর পড়েছিল। মহানাগরিক গৌতম দেব, জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার ও বরো চেয়ারম্যান মিলি সিনহা রিচার বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছেন। মেয়র জানিয়েছেন, রিচা ফিরলে তাঁকে ও ঋদ্ধিমান সাহাকে পুরনিগমের পক্ষ থেকে নাগরিক সভা করে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এদিন ফুল ও মিষ্টি নিয়ে গৌতম দেব রিচার বাড়ি গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘রিচার বাড়ি আমার বাড়ির কাছেই। ও যা করেছে, তা আমাদের জন্য গর্বের।’’